কাগজে কলমে মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে প্রভাব নেই

মরিয়ম সেঁজুতি: সরকার কাগজে কলমে মূল্যস্ফীতি কম দেখালেও, বাজারের পরিস্থিতি এখনো স্বস্তিদায়ক নয়। নিত্যপণ্যের বাজারে দামের ওঠানামা এখন নিয়মিত এক বাস্তবতা। আজ কিছুটা কম, কাল আবার বেড়ে যাচ্ছে। আর এই দোলাচলে সাধারণ মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছেন প্রতিদিনকার বাজারে গিয়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পণ্যের সরবরাহ চেইনে অসঙ্গতি, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হার এবং স্থানীয়ভাবে গঠিত বাজার সিন্ডিকেট এ অস্থিরতার মূল কারণ। তারা আরো মনে করেন, বাজারে পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছে। ক্রেতারা বলছেন, জিনিসপত্রের দাম দুই টাকা কমলে বাড়ে ১০ টাকা। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ না নিলে এর প্রভাব আরো গভীর হবে, যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষকে দারুণভাবে চাপে ফেলবে বলে মনে করেন তারা।
তথ্য বলছে, ২০২৩ এর ফেব্রুয়ারির পর সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মত ৯ শতাংশের নিচে নেমেছে, এক্ষেত্রে খাদ্য সামগ্রীতে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ যা ২০২৩ সালের পর সর্বনিম্ন।

আরও পড়ুনঃ জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি না কমলে সুদের হার আবার বাড়তে পারে

গত ৭ জুলাই সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জুনের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করেছে। বিবিএস বলছে, গত জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জুলাই মাসের প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে আসে। এসময় খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামগ্রিক ভাবে কমলেও বিগত কয়েক মাস ধরে চালের দাম বৃদ্ধি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে। অন্তর্বর্তী সরকারের মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৭ নিয়ে আসার কথা দিয়েছিল। সেদিকেই অনেক অংশেই এগিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম বলেন, চালের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে আসতে পারবে না।

এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে- স্বস্তির কোনো বার্তা নেই নিত্যপণ্যের বাজারে। বেড়েছে তেল ও ডালের দাম। চালের দাম প্রায় দুই মাস আগে থেকে বাড়লেও এখনো তার কমার কোনো লক্ষণ নেই। ব্যবসায়ীদের মতে, দেশের বাইরে থেকে চাল আমদানি হলে ভাঙবে চালের বাজারের সিন্ডিকেট। এদিকে, সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে স্বপ্নের ইলিশ। বাঙালির স্বপ্নের ইলিশ কিনতে গিয়ে বাক-বিতণ্ডা। ১ কেজি ওজনের ইলিশ গত বছরের তুলনায় বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা বেশি দরে দুই হাজার ৪০০ টাকায়। সব ধরণের মাছের দামই চড়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কম হওয়ায় দাম বেশি। এদিকে, সবজির দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা কম রাজধানীর কাওরান বাজারে। এক কথায়, শাক-সবজি, চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, মসলা, সবজি, ডিম, মুরগি ও মাছের দাম প্রায় প্রতিদিনই পরিবর্তিত হচ্ছে। বাজারে কোনো নির্দিষ্ট দামের নিশ্চয়তা নেই। এক দোকানে একটি দামে, অন্য দোকানে তার চেয়ে বেশি। সবজির বাজারে এমন পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে যেসব সবজি ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া গেছে, সেগুলোর দাম এক লাফে বেড়ে ৭০-৮০ টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে ডিমের দাম কয়েকদিন কম থাকলেও আবার বাড়তির দিকে। ব্রয়লার মুরগির দামও স্থিতিশীল না থেকে প্রায়শই ওঠানামা করছে।

খিলগাঁও সি ব্লকের বাসিন্দা হোসনে আরা বেগম বলেন, মাসের শুরুতে বাজার করতে গিয়ে দেখি আগের বাজেট মিলছে না। যে পণ্যগুলো কিনতাম, সেগুলো অর্ধেকও কেনা যাচ্ছে না এখন। নিত্য পণ্যের দাম বাড়লেও আয় বাড়ছে না। সব সামাল দিতে গিয়ে সংসারে নানা রকম কাটছাঁট করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কাওরান বাজারের মদীনা সুপার শপের সেলসম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, সবাই বলে, বাজারে ব্যবসায়ীরা দাম বেশি রাখে। আমরাও তো বেশি দামে কিনে আনছি, কম দামে বিক্রি করলে লোকসানে পড়ি। পাইকারি বাজারেই তো দাম ঠিক থাকে না।

বাজারে কেন এ অস্থিরতা জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকেই দামে ভিন্নতা আসছে। অনেক সময় পণ্য আসা কমে যায়, আবার কোনো কোনো সময়ে পরিবহন সমস্যার কারণে সরবরাহ বিঘ্ন ঘটে। এছাড়া প্রকৃতির দুর্যোগেও বাজার দরে প্রভাব ফেলে। যার ফলে প্রতিদিনই দামের ব্যবধান তৈরি হয়।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ভোগ্যপণ্যের বাজারে এখনো সিন্ডিকেটের দাপট রয়েছে। এ সরকারও বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে তেমন কিছু করতে পারেনি। আগের মতোই একই সুরে বলা হয়Ñ বাজারে সবকিছুর দাম নিয়ন্ত্রণে আছে। এতে ব্যবসায়ীদের সাহস আরো বেড়ে যাচ্ছে, তারা আরো বেপরোয় হয়ে উঠছে।

নাজের হোসাইন বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। ব্রয়লার বা ডিমের দাম কিছুটা কম কমলেও বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম বাড়তি। সরকারি দুই সংস্থা টিসিবি ও খাদ্য অধিদপ্তরের তেমন কোনো কার্যক্রমও এখন চোখে পড়ছে না। এই দুই সংস্থার উচিত দ্রুত কম দামে পণ্য নিয়ে সারা দেশে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে পণ্য দেয়া। এতে সাধারণ মানুষের কিছুটা উপকার হবে, বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। এসময় তিনি বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে চালের বাজার বেসামাল। বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। মোটা চালের কেজি ৬০ টাকা ছাড়িয়েছে। অথচ চাল নিয়ে সরকারের কোনো পর্যায় থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। চালের বাজারে তেমন কোনো অভিযান নেই। এতে বেশি প্রভাব পড়ে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর। এছাড়া যাদের আয়-উপার্জন নির্দিষ্ট পরিমাণের তারাও বিপদের মুখোমুখি হয়ে যান। এর প্রভাব রয়েছে মানুষের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনেও। কারণ অল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষেররা পরিবারের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খায়। ফলে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। কলহের জেরে টানাপোড়েনে পড়ে সংসার জীবন। এছাড়াও পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনেককেই খরচে কাটছাঁট করতে হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেনাকাটা করতে হয় তাদের।

দাম ওঠানামার বিষয়ে ভোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা কারণ হিসেবে বলছে, সরবরাহ চেইন সমস্যা, পরিবহন সংকট ও জ্বালানি তেলের খরচ, বাজার সিন্ডিকেট ও কারসাজি। ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপ আরও জোরালো হওয়া উচিত। নিয়মিত বাজার মনিটরিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মূল্য তালিকা নিশ্চিতকরণ এবং সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। সরকারি পর্যায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন টিম কাজ করছে এবং যেখানে সমস্যা ধরা পড়ছে, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে বাস্তবে ভোক্তারা এর সুফল খুব একটা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

যেসব কারণে পণ্যমূল্যের দাম বাড়ার শঙ্কা
বাংলাদেশে কৃষিপণ্য এখনো পুরোপুরি সংরক্ষণ-নির্ভর নয়। ফলে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মৌসুমভিত্তিক ঘাটতি বা পরিবহন সংকটে সহজেই সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অস্থিরতার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তারা কৃষক থেকে স্বল্প দামে পণ্য কিনে শহরের বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডলারের উচ্চ বিনিময় হারও বড় প্রভাবক। কারণ ডাল, ভোজ্যতেল, মসলা ও কিছু ফল আমদানিনির্ভর। ডলারের দাম বাড়লে এসব পণ্যের দামও বাড়ে।
ব্যবসায়ীদের গোপন সমন্বয় কিংবা অঘোষিত চুক্তির মাধ্যমে পণ্যের ঘাটতি দেখিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা খুব কমই নেয়া হয়। এমনকি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানও অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলছে না। বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের নীতিগত দুর্বলতা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব বাজার ব্যবস্থাকে আরও অনিয়ন্ত্রিত করে তুলেছে। শুধু তাৎক্ষণিক অভিযান নয়, প্রয়োজন পণ্যের উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পুরো ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও স্বচ্ছ করা।

দাম বেড়েছে অনেকগুলো পণ্যের : বিগত প্রায় দুই মাস ধরে চালের দাম বেড়েছে বেশি। চিকন চালের কেজি গত দুই মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। নাজিরশাইল চালের কেজি ৯০ টাকায় ঠেকেছে, যা দুই মাস আগেও ছিল ৮০ টাকায়। একইভাবে বি-আর ২৮ চালের কেজি এখন ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, আগে ছিল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। এ ছাড়া মোটা চালের কেজি ছিল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা, এখন বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা। এভাবে বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। অথচ এবার দেশে ইরি ও বোরো দুই মৌসুমেই ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এদিকে বাজারে দীর্ঘদিন পর ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বাড়লেও কমেছে ডিমের দাম। তবে গত সপ্তাহ থেকে চড়া দামে বিক্রি হওয়া মরিচের দাম অল্প কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে মানভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এতে করে ঢাকার দোকানগুলোতে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আগে পেঁয়াজ বিক্রি হতো ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
বাজারে ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বাজারভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। অন্যদিকে আমদানির প্রভাবে দাম কিছুটা কমলেও এখনো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়, যা সপ্তাহখানেক আগে ৩০০ টাকায় উঠেছিল।
মাছের বাজারও চড়া : ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও দাম বেশ চড়া। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২৬০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ইলিশ ২২০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ইলিশ ১৬০০ টাকা এবং ৩০০ গ্রাম ইলিশ ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি চাষের শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, দেশি শিং ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতলা ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, কলিজা ৮০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ