কী দেখে কোরবানির গরু কিনবেন?

মুসলমানদের জন্য কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি ইবাদত। আর ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরিয়ত নির্দেশিত উপায়ে কোনো প্রিয় বস্তু আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা। কোরবানি মানে শুধু আত্মত্যাগই নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও।

এখন প্রশ্ন হলো: কী দেখে কোরবানির পশু কিনবেন?

মনে রাখবেন, গরুর বয়স ন্যূনতম দুই বছর হলেই এটি কোরবানির জন্য উপযুক্ত। আর বয়স জানার উপায় হলো গরুর দাঁত পর্যবেক্ষণ করা। গরুর দাঁতের সংখ্যা এবং ক্ষয়ের পরিমাণ দেখে নির্ণয় করা যায় তার বয়স।

গরুর জন্ম থেকে এক মাস বয়সের মাঝেই অস্থায়ী দাঁত উঠতে শুরু করে। স্থায়ী দাঁতের থেকে এগুলোকে সহজেই আলাদা করা যায়। কারণ, এগুলো আকারে ছোট এবং তুলনামূলকভাবে বেশি সাদা। একটা পূর্ণবয়স্ক গরুর মুখের ভেতরে ৩২টি দাঁত থাকে। আর এক মাসের মধ্যে নিচের পাটির সামনের ৮টি অস্থায়ী দাঁত উঠে যায়।

এক বছর বয়সে সামনের মাঝের দুটো অস্থায়ী দাঁত পড়ে যায় ও সেখানে স্থায়ী দুটো দাঁত ওঠে যেগুলো আকারে পাশের দাঁতগুলোর থেকে বড়। দুই বছর বয়সের মাঝে এই দুটো দাঁত বেশ বড় আকার ধারণ করে।

দুই বছর থেকে আড়াই বছরের মাঝে সামনের দুটি দাঁতের দুই পাশে আরও একটি করে স্থায়ী দাঁত ওঠে ফলে সামনে স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা হয় ৪টি। তিন বছরের মাঝে এই পাশের দুটি দাঁতও সম্পূর্ণ আকৃতি ধারণ করে।

তিন বছরের মাঝে পাশে আরও দুটি দাঁত ওঠে ফলে সামনে স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা হয় ৬টি। সাড়ে তিন বছরের মাঝে এই দুটা পূর্ণ আকৃতি ধারণ করে। চার থেকে পাঁচ বছরের মাঝে সামনে আটটা স্থায়ী দাঁতই উঠে যায়।

পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সে একেবারে সামনের দুটো দাঁত ক্ষয় হতে হতে সমান হয়ে যায় এবং পাশের বাকি দাঁতগুলোতেও ক্ষয়ের চিহ্ন দেখা যায়।