কোরবানির পশুর সঙ্গে ফ্রিতে পাওয়া জিনিস কী করবেন?

কোরবানির পশুর বিক্রি আকর্ষণীয় করতে বিক্রেতারা বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করেন। অনেক সময় কোরবানির পশু কিনলে মোবাইল, ফ্রিজ ইত্যাদি ফ্রি দেওয়া হয় বিক্রেতার পক্ষ থেকে। কোরবানির পশুর সঙ্গে পাওয়া ফ্রিজ বা মোবাইল নিজে ব্যবহার করা যাবে নাকি সদকা করে দিতে হবে?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদদের মতামত হলো— কোরবানির পশুর সঙ্গে ফ্রিতে পাওয়া মোবাইল ফ্রিজ বা যেকোনো জিনিস ক্রেতা নিজে রাখতে পারবেন এবং ব্যবহার করতে পারবেন।

কোরবানির পশুর সঙ্গে ফ্রিতে পাওয়া পণ্য সদকা করে দেয়া আবশ্যক নয়। কারণ, এর সাথে কোরবানির পশুর কোন সম্পর্ক নেই। শুধু মাত্র কোরবানির পশুর সাথে সম্পর্কিত বস্তুই সদকা করা মুস্তাহাব বলা হয়েছে। যেমন, কোরবানির পশুর দুধ, রশি ইত্যাদি। কিন্তু অন্যান্য বস্তু এর অন্তর্ভূক্ত হবে না।

কোরবানি করলে অতীতের সগিরা গুনাহ মাফ হয়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ফাতিমা (রা.)-কে বলেন, তুমি তোমার কোরবানির জন্তু জবেহর স্থানে উপস্থিত থাকো। কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তোমার অতীতের সব গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন।

ফাতিমা (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এই গুনাহ ক্ষমা হওয়ার বিষয়টি আমাদের জন্য বিশেষত, নাকি সব মুসলমানের জন্য? নবীজি বললেন, আমাদের ও সব মুসলমানের গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (মুস্তাদরাক হাকিম, হাদিস : ৭৬৩৩)

কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত : ৩৭)

মহান আল্লাহ আরো ইরশাদ করেছেন, (হে রাসুল!) আপনি বলুন- আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ (অর্থাৎ আমার সবকিছু) আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা-আনআম, আয়াত, ১৬২)।