খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধানের ৪০ মিনিটের সাক্ষাৎ

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটায় গুলশান চেয়ারপারসনের বাসভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এ তথ্য জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস ইউংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, মূলত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে সেনাপ্রধান তার বাসায় আসেন। এ সময় চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার সমন্বয়কারী মেজর জেনারেল (অবঃ) ফজলে এলাহি আকবর সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান-যোগ করেন শায়রুল। তিনি জানান, তাদের মধ্যে ৪০ মিনিটের মতো কথা হয়েছে। সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার সহধর্মিণী উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর সবচেয়ে বড় ঘটনা বন্দিদশা থেকে খালেদা জিয়ার পুরোপুরি মুক্তি। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্ত থাকলেও এবার সরকার পতনের একদিন পর সাজা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দণ্ড মওকুফ করেন। মুক্তির পর গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এই সংবর্ধনায় উপস্থিত হন খালেদা জিয়া।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। তিনি তখন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতায় খালেদার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। ওই বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন খালেদা জিয়া। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনে প্রতি ছয় মাস পরপর বিএনপি নেত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে আসছিল শেখ হাসিনার সরকার। প্রতিবারই তাকে দুটি শর্ত দেওয়া হচ্ছিল। তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য পরিবারের তরফ থেকে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হলেও ওই শর্তের যুক্তি দিয়েই বার বার তা প্রত্যাখ্যান করেছে শেখ হাসিনার সরকার। সবকিছু ঠিকঠিক থাকলে ৭ জানুয়ারিতে উন্নত চিকিৎসায় লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া।