গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, কমিশন গণমাধ্যমের টেকসই সংস্কারের জন্য কাজ করছে, যা শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক নয় বরং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামোর অংশ হবে। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কী ধরনের সুপারিশ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ ঢাকায় সার্কিট হাউস রোডস্থ তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধিদের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক পরিসরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসারে একযোগে কাজ করছেন এমন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জোট হচ্ছে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন।
কমিশন প্রধান ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের আমলে সংবাদ মাধ্যমের ওপর যেসব অযাচিত আক্রমণ এসেছে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন-কে ধন্যবাদ জানান। তিনি ভবিষ্যতেও সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের সদস্য দেশগুলোর ঢাকাস্থ দূতাবাসসমূহের প্রতিনিধিরা আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। অপতথ্য ও বুয়াতথ্য প্রচারের ঝুঁকি মোকাবেলায় কমিশনের কোনো ভূমিকা থাকবে কিনা সে সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে গণমাধ্যম সংস্কারে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে কিনা সে সম্পর্কেও তাঁরা জানতে চান।
এসময় কমিশন প্রধান মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধিদের জানান আমাদের মেয়াদ ৯০ (নব্বই) দিন। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের অংশীজন প্রকাশক, সম্পাদক, সাংবাদিক, বেতার ও টেলিভিশন মালিক এবং সাধারণ জনগণ-দর্শক-শ্রোতা যারা গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট তাদের সাথে আলোচনা করে একটি নির্ভরযোগ্য সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা। আমরা সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের কথা শুনছি এবং তাদের মতামত গ্রহণ করছি এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকেও গণমাধ্যম সম্পর্কিত তাদের পর্যাবেক্ষণ এবং সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
প্রতিনিধি দলের অপর এক সদস্যের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় সরকারি আইন অনুযায়ী বীমা সহায়তা প্রদান করা যায় কিনা এ বিষয়ে কমিশন বিবেচনা করছেন।
এ আলোচনা সভায় কমিশন সদস্য শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, ফাহিম আহমেদ, জিমি আমির, জনাব মোস্তফা সবুজ, টিটু দত্ত গুপ্ত, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধি Stephen F Ibelli, U.S Embassy Dhaka, Vanessa Beaumont, British High Commission Dhaka, Michiko UEDA, Japan Embassy Dhaka, Lara Adams, Australlan High Commission Dhaka, Siobnan ken, Canadian High Commission Dhaka, Paola Castro Neiderstanm Sweden Embassy Dhaka, Cor Stouten, Netherlands Embassy Dhaka, Eamilie Palahouane, France Embassy Dhaka, Ali Sohel Ibn Switzerland Embassy Dhaka সহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।