গভর্নরের উপদেষ্টা হিসেবে আর কোন নিয়োগ নয়

প্রস্তাব বাতিল

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উপদেষ্টা হিসেবে আপাতত আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। তবে জরুরি প্রয়োজন হলে পরামর্শ পদে কোনো বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দেওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্বিক কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ, পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে গভর্নরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা পদমর্যাদায় একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছিল। তিনি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কাজও করছিলেন। তিনি হচ্ছেন ইফতি ইসলাম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তার নিয়োগের প্রস্তাব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের উপদেষ্টা হিসেবে আর কাউকে নিয়োগ না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব ত্য জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ইফতি ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এফবিসিসিআই’র সভা

সূত্র জানায়, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দুইজন উপদেষ্টা রয়েছেন। তারা হলেন- আসনান উল্লাহ ও সাবেত বিন সিদ্দিক। দুই উপদেষ্টাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পদমর্যাদার ওপরে। এর মধ্যে আহসান উল্লাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। সাবেত বিন সিদ্দিক বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মী ছিলেন না। তাকে বাইরে থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাজ করেছেন। এ কারণে তাকে উপদেষ্টার পাশাপাশি ব্যাংক সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য করা হয়েছে। ইফতি ইসলামকেও নির্বাহী পরিচালক পদমর্যাদার ওপরে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মী নন। কিন্তু তিনি মানিলন্ডারিং বিষয়ে কাজের ক্ষেত্রে নানাভাবে হস্তক্ষেপ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত গড়িয়েছে।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে তার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইফতি ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা নানা অভিযোগ উপস্থাপন করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর তার পক্ষে বললেও শেষ পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা ইফতি ইসলামকে নিয়োগ না দেওয়ার পরামর্শ দেন গভর্নরকে। পরে ধারাবাহিক শিডিউল হিসেবে ইফতি ইসলামের নিয়োগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদে ওঠলে তা নাকচ করে দেওয়া হয়।
গভর্নরের উপদেষ্টা নিয়োগের কারণে কাজের সমস্যা হচ্ছে বলে নির্বাহী পরিচালক পদমর্যাদার ওপরে আর কোনো উপদেষ্টা আপাতত নিয়োগ না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ