গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য শুধু ঠান্ডা পানীয় নয়, প্রয়োজন হয় আরও বেশি কিছুর। সেজন্য এমন খাবারের প্রয়োজন যা সতেজ, পুষ্টিকর এবং শক্তি যোগ করে। পেঁপে একটি প্রাণবন্ত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল যা কেবল স্বাদই দেয় না বরং স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। আপনি যদি ইতিমধ্যে আপনার গ্রীষ্মের মেনুতে পেঁপে যোগ না করে থাকেন, তাহলে এখনই শুরু করার উপযুক্ত সময়। কেন? জেনে নিন-
১. প্রকৃতির হাইড্রেশন হিরো
গ্রীষ্মের তাপ আপনার ধারণার চেয়েও দ্রুত ডিহাইড্রেশনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। প্রায় ৯০% জলীয় উপাদান থাকায় পেঁপে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এটি যেমন রসালো, তেমন সুস্বাদু। এর প্রাকৃতিক শর্করা প্রক্রিয়াজাত খাবার বা চিনিযুক্ত পানীয়ের ক্র্যাশ ছাড়াই শক্তি বৃদ্ধি করে।
২. মসৃণ হজম
গরম আবহাওয়া হজমকে ধীর করে দিতে পারে, বিশেষ করে ভারী বা ভাজা খাবার খেলে। পেঁপে পেপেইন সমৃদ্ধ। পেপেইন একটি প্রাকৃতিক পাচক এনজাইম যা প্রোটিন ভেঙে ফেলতে এবং পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে। এটি বারবিকিউ বা মসলাদার খাবারের পরে আপনার পেটের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে।
৩. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
গ্রীষ্ম মানে বেশি বেশি রোদের সংস্পর্শ। যা শুষ্কতা, নিস্তেজতা এবং অকাল বার্ধক্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে। পেঁপে ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
শীতকালের মতো গ্রীষ্মেও শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। পেঁপে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফোলেট এবং ভিটামিন ই-এর মতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা-সহায়ক পুষ্টিতে ভরপুর। দিনে মাত্র একবার পেঁপে খেলে তা শরীরকে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
৫. কম ক্যালোরি এবং পেট ভরা
পেঁপেতে ক্যালোরি কম, চর্বিমুক্ত এবং ফাইবার বেশি। এটি পেট ভরিয়ে দেয় কিন্তু ওজন বাড়ায় না। একটি স্ন্যাক, স্মুদি, এমনকি একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসাবেও নিখুঁত। তাই নিয়মিত পেঁপে রাখুন আপনার খাবারের তালিকায়।
৬. প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে
রোদে পোড়া, তাপজনিত ক্লান্তি, অথবা পেশী ব্যথা? পেঁপেতে প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য কোলিন এবং ভিটামিন সি-এর মতো পুষ্টি রয়েছে। যা আপনার শরীরকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।