গার্মেন্টস খাতে স্বস্তি-উদ্বেগের মিশ্র চিত্র, এখনও বন্ধ ১৪ কারখানা

ঈদের পর দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে (গার্মেন্টস) খোলা ও বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর চিত্রে দেখা যাচ্ছে স্বস্তি ও উদ্বেগ—দুই-ই।

তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ জুন) পর্যন্ত তাদের আওতাধীন ২ হাজার ৮৮টি কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৭৪টি চালু রয়েছে, যা মোটের ৯৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে বেতন ও বোনাসসহ নানা জটিলতায় ১৪টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, যা ০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

আরও পড়ুনঃ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি

বিজিএমইএর হিসাবে, সবচেয়ে বেশি চালু কারখানা রয়েছে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে— এলাকাটিতে ৮৪৩টি কারখানা খোলা থাকলেও ৯টি কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করছে না বা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি অঞ্চলে ৩৯৫টি কারখানার মধ্যে ৮টি বন্ধ।

এছাড়া টঙ্গী, ভোগড়া ও বাইপাস এলাকা মিলিয়ে বেশ কিছু কারখানায় সাময়িক ছুটি ও লে-অফ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে সিজন ড্রেসেস লিমিটেড (বেতন-বোনাস দাবিতে কাজ বন্ধ), ইন্টারলিংক অ্যাপারেলস (মে মাসের বেতন আংশিক), টেকনো ফাইবার লিমিটেড (১৩/১ ধারায় বন্ধ) এবং বিএইচআইএস অ্যাপারেলস (১৩/১ ধারায় বন্ধ)।

আশুলিয়া ও সাভার এলাকার মাসকট গ্রুপের তিনটি কারখানা গত ১৬ জুন থেকে লে-অফ ঘোষণা করেছে। এর সঙ্গে সাভার ও মানিকগঞ্জ এলাকার বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেডেও শ্রমিকদের বেতন-বোনাস বকেয়া রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, কাশিমপুর, জিরানী, কোনাবাড়ী ও শ্রীপুর এলাকাতেও একাধিক কারখানা বেতন না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বা ছুটি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ডরিন অ্যাপারেলস লিমিটেড ও ডরিন গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকেরা কাজ না করেই চলে গেছেন।

এ ছাড়া, রাজধানীর মিরপুর-২ এর ফ্লোরেসেন্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে কাজ বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) এলাকার সব কারখানাই আজ খোলা রয়েছে। চট্টগ্রামে ২০৪টি, ডিএমপি এলাকায় ৩৪২টি এবং নারায়ণগঞ্জে ৮টি কারখানা শতভাগ চালু রয়েছে।

এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ