গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশেষ নিরাপত্তা প্ররক্ষা নির্দেশিকা বাতিল

গুরুত্বপূর্ণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিশেষ নিরাপত্তা প্রদানবিষয়ক প্ররক্ষা নির্দেশিকা ২০২৫ বাতিল করেছে সরকার।

রোববার (৯ মার্চ) উপসচিব মো. আমিনুল ইসলাম সই করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-৪ থেকে জারি করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয় হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয় ও সুত্রোস্থ স্বারকে এ বিভাগ হতে ৬ মার্চ তারিখে জারিকৃত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ে ‘প্ররক্ষা নির্দেশিকা ২০২৫’ এর কার্যকারিতা এতদ্বারা বাতিল করা হলো।

এর আগে, রাষ্ট্র ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশেষ নিরাপত্তার জন্য গত ২ মার্চ জারি করা প্ররক্ষা নির্দেশিকা ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছিল হাইকোর্ট।  বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ)  সকালে বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদ রাজির হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  

এ সময়, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স অমান্য করে প্রধান বিচারপতিকে হেয় করে সম্প্রতি জারি করা নির্দেশিকার ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৮ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে তলব করেছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে এ নির্দেশিকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত রুলও দেন হাইকোর্ট। 

বৃহস্পতিবার সকালে আইনজীবী শিশির মনির নির্দেশিকাটি আদালতের নজরে এনে জানান, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রের চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আপিল বিভাগের বিচারপতিদের অবস্থানও ওপরে। অথচ ২ মার্চের নিরাপত্তা নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতি এবং পুলিশের একজন ডিআইজিকে একই ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা পদমর্যাদার অবমূল্যায়ন। 

সেই সময়, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স অমান্য করে প্রধান বিচারপতিকে হেয় করে সম্প্রতি জারি করা নির্দেশিকার ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৮ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে তলব করেছিল হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে এ নির্দেশিকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত রুলও দেন হাইকোর্ট। 

বৃহস্পতিবার সকালে আইনজীবী শিশির মনির নির্দেশিকাটি আদালতের নজরে এনে জানান, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রের চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।  আপিল বিভাগের বিচারপতিদের অবস্থানও ওপরে।  অথচ ২ মার্চের নিরাপত্তা নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতি এবং পুলিশের একজন ডিআইজিকে একই ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা পদমর্যাদার অবমূল্যায়ন। 

এ সময় আদালত মন্তব্য করেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্ট থেকে অথচ এই বিচারঙ্গণকেই অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।