ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরিয়া সার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১ মার্চ) রাত থেকে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আশুগঞ্জ সার কারখানা প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ১০০ টন ইউরিয়া সার উৎপাদনে সক্ষম। তবে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। তবে গ্যাসের চাপ কম থাকায় আগে থেকেই কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল না।
শনিবার সন্ধ্যার পর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়ার কারণে রাত থেকে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আশুগঞ্জ সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) এ. বি. মাহমুদ বলেন, গ্যাস ছাড়া সার উৎপাদন সম্ভব নয়। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে। কবে নাগাদ উৎপাদন পুনরায় চালু হবে তা নির্দিষ্ট নয়।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাহিদুর রেজা বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। চলতি মৌসুমে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
গেল বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সংকটের কারণে দীর্ঘ ৯ মাস উৎপাদন বন্ধ ছিল। এরপর শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে ১৫ নভেম্বর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। তবে দেড় মাস উৎপাদনের পর আবারও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় কারখানাটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। এদিকে দেশের অন্যতম সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আশুগঞ্জ সার কারখানা বন্ধ থাকলে সার সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।