পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নিজ বাড়িতে ছুটে যাচ্ছে নগরবাসী। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল । যা ঈদযাত্রার চিরচেনা দৃশ্যকে ফিরিয়ে এনেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য স্থাপন করা হয়েছে আলাদা গেট। যেখানে রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা টিকিট চেক করে যাত্রীদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন। টিকিট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন না। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থানও লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, কিছু কিছু যাত্রী নিজ গন্তব্যের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কেউ আবার ট্রেনে উঠে নির্ধারিত সিটে বসে আছেন।
সকাল থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় যাত্রীরা স্বস্তিতে যাত্রা করছেন।
১৮ টি ট্রেনের মধ্যে, লোকাল ছিল ৫ টি এবং আন্তঃনগর ছিল ১৩ টি। লোকাল ট্রেনগুলো হলো: বলাকা ১, তুরাগ কমিউটর, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটর, মহুয়া কমিউটর, কর্ণফুলী কমিউটর। এবং আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হলো: ধুমকেতু এক্সপ্রেস, পর্যটন এক্সপ্রেস, পারাবত, নীলসাগর, সোনারবাংলা, এগারো সিন্ধু, তিস্তা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতি, সুন্দরনবন এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস।
ঈদের সময় পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করার আলাদা শান্তি রয়েছে মন্তব্য করে যাত্রীরা বলেন, বাড়ি যাব ভেবে খুবই ভালো লাগছে। বাবা-মা এবং প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার মধ্যে অন্যরকম শান্তি রয়েছে।
মনির নামের একজন যাত্রী বলেন, অনেকদিন পর বাড়ি যাচ্ছি। বাড়িতে মা এবং ছোট বোন রয়েছে। তাদের জন্য শপিংও করেছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো এটা ভেবেই খুব আনন্দ পাচ্ছি।
এদিকে যাত্রীদের অনেকে অনলাইনে টিকিট কেটে সহজে ট্রেনে উঠতে পেরেছেন এবং ট্রেনের সিডিউল মেনে চলায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।