ঘুষ ও দুর্নীতি : পল্লী বিদ্যুতের ৫ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

শত কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও ঘুষ দাবিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারসহ ৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানে ১৭ অক্টোবর পাঠানো নোটিশে তাদের আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

তলবকৃতদের মধ্যে বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূইয়াকে ২৭ অক্টোবর এবং মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কারিগরি) সামিউল কবীর ও বিপাশা ইসলাম এবং মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ই অ্যান্ডসি) রাজন কুমার দাসকে ২৮ অক্টোবর দুদকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুতের একজন ঠিকাদারের কাজ শেষে ঘুষ না দেওয়ায় বিল থেকে জরিমানা হিসেবে টাকা কেটে রাখাসহ একাধিক দুর্নীতির বিষয় নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। যা পল্লী বিদ্যুৎ থেকেও প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলে। এরপর যা দুদকে পাঠানো হলে যাচাই বাছাই শেষে তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

এছাড়া অপর আর একটি অভিযোগে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতের সমন্বয়কদের মাধ্যমে ২২৫ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আরও কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীর থেকে এই অর্থ সংগ্রহ হয়েছে। ওই টাকা ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। দলের অন্য দুই সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা ও উপসহকারী পরিচালক মো. শাহজালাল।