বঙ্গোপসাগারে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই এই বৃষ্টি শুরু হয়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিস বলছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হয়েছে। এ কারণে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আমির হোসেন জাহিদ বলেন, বুধবার সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দোকানপাটে মানুষ নেই। বেশিরভাগ মানুষ ঘরে বসে আছে। কাজে যেতে পারছে না।
হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আল আমিন বলেন, সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের এখানে মানুষ একটু অসচেতন। সতর্ক সংকেত একের পর এক বাড়তে থাকলেও মানুষের মাঝে সচেতনতা নেই। কারণ এখানের জীবনযাপন সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগকে ঘিরে। আল্লাহ যদি সহায় হয় তাহলে আমাদের রক্ষা হবে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন-চার ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে উপকূলীয় সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।