চলতি মাসেই সর্বজনীন পেনশনের হিসাবে জমা হবে মুনাফা

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় চলে এসেছেন তিন লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ প্রায় ১৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে ট্রেজারি বন্ডে। বিনিয়োগ থেকে যে মুনাফা হয়েছে, তা চলতি মাসেই পেনশন স্কিমের আওতায় আসাদের হিসাবে বণ্টন করা হবে। সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, পেনশন স্কিমে জমা পড়া টাকার সিংহভাগ সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিনিয়োগ থেকে আসা মুনাফা হিসাব করা হবে। এই মুনাফা চলতি মাসেই আনুপাতিক হারে স্কিম গ্রহণকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। স্কিম গ্রহণকারীরা তাদের হিসাবে গিয়ে জমা করা টাকা এবং মুনাফা দেখতে পারবেন। তবে এই হিসাব থেকে কেউ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না।

এদিকে সোমবার (১৪ অক্টোবার) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিভিন্ন বিষয় উপস্থান করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- বর্তমানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যেভাবে চলছে, সেভাবেই চালু থাকবে।

সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে গত বছরের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে সরকার। প্রাথমিকভাবে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা— এই চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু করা হয়।

পরবর্তীতে সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। গত ১ জুলাই থেকে এই স্কিম কর্যকর হয়। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে প্রত্যায় স্কিম বাতিল করা হয়। সে হিসাবে বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা এই চারটি স্কিম চালু রয়েছে।