সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছেলেদের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর ও মেয়েদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা পর্যালোচনায় গঠিত কমিটি সরকারকে প্রতিবেদন দিয়েছে। সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছি। পরবর্তীতে সরকারের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর আগে, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। তাদের দাবির বিষয়টি পর্যালোচনা করতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করে সরকার। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছিল সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। কমিটিতে আরও তিনজন সদস্য ছিলেন।
গত ১৪ অক্টোবর পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছেলেদের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর ও মেয়েদের ৩৭ বছর করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বয়স বাড়ানোর সুপারিশে বড় কারণ হিসেবে একাধিক যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। তবে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বয়স নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর।