চীনা বিনিয়োগকারীদের সফরে নতুন আশা দেখছেন বিডা চেয়ারম্যান

চীনা বিনিয়োগকারীদের

চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্মেলনে অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে নতুন মাইলফলক রচিত হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

এ সম্মেলনে নতুন আশা দেখছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এত বড় প্রতিনিধিদল এক দেশ থেকে আমরা আগে কখনো পাইনি। আমরা নতুন মাত্রার আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি চীনা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

রোববার (১ জুন) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আগারগাঁওয়ে বিডা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন আশিক মাহমুদ।

এর আগে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্মেলন হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অংশ নেয় চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস।

আরও পড়ুনঃ সামিটে ৩১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: বিডা চেয়ারম্যান

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনটাও।

সম্মেলন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, চীনের ১৪৩ প্রতিষ্ঠানের ২৫০ জন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। এছাড়া বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে ফরচুন ৫০০ কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত ৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেজা ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সম্মেলন পরিচালনা করেন। বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি ও পরিবেশ নিয়ে উপস্থাপন করেন বিডার হেড অব বিজনেস ডেভেলাপমেন্ট নাহিয়ান রোচি। বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এছাড়া অংশগ্রহণকারী ৪টি প্রধান চীনা বাণিজ্যিক চেম্বারের সভাপতিরা বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে যৌথ উদ্যোগ, ইলেকট্রনিকস ও যন্ত্রপাতি শিল্পে চীনা প্রযুক্তি স্থানান্তর, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হয়। এসময় চীনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বিডা জানায়, সম্মেলনের বিটুবি ও বিটুজি সেশনে ১০০টিরও বেশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। এতে উভয় দেশের উদ্যোক্তারা সম্ভাব্য যৌথ প্রকল্প নিয়ে মতবিনিময় করেন। এছাড়াও আগামী ২ দিন সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাসহ কয়েক বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্মেলনে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় চাইনিজ এগ্রিভোল্টাইক্স অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বেজা এবং পাওয়ার চায়না ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ