চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে বিনিয়োগকারীদের প্রতিবাদ

পুঁজি রক্ষা এবং বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে মতিঝিলের রাস্তায় সমাবেশ করেছেন শেয়ারবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) ব্যানারে সমাবেশ করেন তারা।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠীত হয়।

সমাবেশে অংশ নেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল হক নুর, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, অর্থ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মো. ফজলুল বারী এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম ভূঁইয়াসহ হাজারের বেশি বিনিয়োগকারী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশকারীরা পুঁজি রক্ষার্থে এবং আগামীর বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও একটি সুন্দর পুঁজিবাজার গঠনে মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেন। তারা বাজারের ধস রোধে জরুরি সংস্কারের ১১ দাবি নিয়ে একটি তালিকা তুলে ধরেন।

বিনিয়োগকারীদের দাবিগুলো হলো বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ও আইসিবি’র চেয়ারম্যানকে দ্রুত অপসারণ করে নতুন যোগ্য চেয়ারম্যান নিয়োগ করে পুঁজিবাজার বাঁচাতে হবে।

বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে গেইন-ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে (তদন্ত ও অসময়ে জেড গ্রুপে প্রেরণ ইত্যাদি)।

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর বিধান সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ কোম্পানির জেড ক্যাটাগরিতে গেলে সর্বোপরি বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।

কোম্পানিগুলোকে আয়ের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে।
ব্যাংক, ফাইন্যান্স, ইন্স্যুরেন্স, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবিসহ পুঁজিবাজারে তাদের যতটুকু বিনিয়োগ করার কথা তা শতভাগ কার্যকর করতে হবে।
টাস্ক ফোর্সের সংস্কারগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দ্রুত জানাতে হবে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করে বিনিয়োগকারীকে ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে।

কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ ৩০ শতাংশ অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
বিএসইসি’র দায়িত্ব অন্তত ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজার বিনিয়োগ নিয়ে আসা।
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হলে তার বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে এবং শেয়ারবাজারে ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে।
পুঁজিবাজার পরিচালনায় রাশেদ মাকসুদের অযোগ্যতার অভিযোগ এনে বিনিয়োগকারীরা দাবি করেন, শেয়ারবাজার নিয়ে তার(রাশেদ মাকসুদ) কোনো জ্ঞান নেই। তার পক্ষে শেয়ারবাজার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই শেয়ারবাজারের স্বার্থে তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।