ছাত্রলীগ নেতাসহ কুয়েটের ১০ ছাত্র আজীবন বহিষ্কার, ৪ জনের শাস্তি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন ছাত্রকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার এবং চারজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গত ২৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। বহিষ্কৃতদের মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নেহিয়ান সেজানসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা রয়েছেন।

আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন—নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, ছাত্র রায়হান আহমেদ, সাদ আহমেদ, সাজেদুল কবির, আদনান রাফি, রিজুয়ানুল ইসলাম রিজভী, ফুয়াদুজ্জামান ফাহিম, মো. মেহেদী হাসান মিঠু, মো. সাফাত মোর্শেদ ও ফখরুল ইসলাম।

এ ছাড়া শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য সনদ প্রদান করা হবে না এবং আজীবন প্রশংসাপত্র পাবেন না এবং শুভেন্দু দাস ও ফারিয়ার জামিল নিহালকে তিন বছরের জন্য সনদ প্রদান করা হবে না এবং আজীবন প্রশংসাপত্র পাবেন না। এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় এক শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার এবং সতর্ক করা হয়েছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুয়েট ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ সুলতান মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২৭ জানুয়ারির সভায় দুটি আলোচ্যসূচি ছিল। আলোচ্যসূচির প্রথমটিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে ১৩ জনের শাস্তি হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জনকে আজীবন বহিষ্কার এবং তিনজনকে বিভিন্ন শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। আলোচ্যসূচি দ্বিতীয়টিতে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় একজনের শাস্তি হয়েছে।