দেশের প্রধান রপ্তানি খাত, তৈরি পোশাক শিল্প, যাতে নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সেই লক্ষ্যে অ্যাপারেলস ভিলেজ লিমিটেডের (এভিএল) পরিচালক এবং বিজিএমইএ বোর্ডের সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী (ব্যালট ৫৫) মির্জা ফাইয়াজ হোসেন জাতীয় জ্বালানি পরিকল্পনায় তৈরি পোশাক খাতের সক্রিয় ও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। পোশাক খাতে তার ১৭ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি এই দাবি তুলে ধরেছেন।
ফাইয়াজের দক্ষ নেতৃত্বে এভিএল ফ্যাক্টরি কখনো কোনো অস্থিরতা বা অব্যবস্থাপনার কারণে একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা কখনো শ্রমিকদের বেতন দিতে দেরি করেননি, এমনকি বাজারের অস্থিরতা, রাজনৈতিক পরিবর্তন বা জাতীয় সংকটের মধ্যেও তাদের উৎপাদন ছিল স্থিতিশীল ও অব্যাহত। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “স্থিতিশীলতা শুধুমাত্র ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে না বরং এটা সুপরিকল্পনা, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা এবং পারস্পরিক সম্মানের মাধ্যমে পাওয়া যায়।”
আরও পড়ুনঃ বিজিএমইএ নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদে লড়বেন ৯৩ প্রার্থী
ফাইয়াজ মনে করেন, তৈরি পোশাক খাতের অগ্রগতি বিভিন্ন কারণে বারবার থমকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “সরবরাহ ব্যাহত হওয়া এখন আমাদের উৎপাদনের জন্য স্থায়ী বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” তার মতে, রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে অবশ্যই জাতীয় জ্বালানি আলোচনায় অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং সেখানে বিজিএমইএ-এর ভূমিকা নিশ্চিত করা জরুরি।
ফাইয়াজ বলেছেন, যদি বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করতে চায়, তাহলে সবার আগে উৎপাদন যেন বন্ধ না হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ভবিষ্যৎমুখী চুক্তি ও একটি সমন্বিত জ্বালানি পরিকল্পনা, যা বিপদের সময়েও গার্মেন্টস শিল্পকে অগ্রাধিকার দেবে।
করোনা মহামারির সময় এভিএল কোম্পানি শ্রমিকদের উপস্থিতি, ইনভেন্টরি, কাজের হিসাব ও হিসাব সংরক্ষণের মতো সব মূল ব্যবস্থাগুলো সম্পূর্ণ ডিজিটালি অনলাইনে নিয়ে আসে। এর ফলে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও কোম্পানির কাজের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হয়। ফাইয়াজ মনে করেন, এমন প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ের পরিকল্পনার সমন্বয় ঘটানো এখন অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাক্টরিগুলো একা একা সব করতে পারবে না। এখন সময় এসেছে জাতীয় পর্যায়ে সবার একসাথে কাজ করার—যাতে আমাদের সবার ফ্যাক্টরি চলমান থাকে, শ্রমিকরা চাকরিচ্যুত না হয় এবং বিদেশে রপ্তানি অব্যাহত থাকে।”
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।