জাপানে রোববারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রধান তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
২০০৯ সালের পর জাপানের ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) জোট এবার সবচাইতে খারাপ ফলাফল করেছে। এরপরেই সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও নির্বাচনী প্রধান শিনজিরো কোইজুমি পদত্যাগের ঘোষণা করেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফ্রান্সের বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, রোববার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। এরপর নিজের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে তার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন শিনজিরো কোইজুমি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বলা চলে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা’র দল এলডিপি জাপান শাসন করে এসেছে।
জাপানের টিভি চ্যানেল এনএইচকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জুনিয়র কোয়ালিশন জোট প্রার্থী কোমেইটো জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে পেয়েছেন ২শ ১৫টি আসন। এর আগে ২০০৯ সালের নির্বাচনে এই আসন ছিল ২শ ৭৯টি আসন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কোমেইটো কিইচি ইশি দলের নেতৃত্বের হাল ধরেন।
অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপান (সিডিপিজে) ১শ ৪৮টি আসন পেয়েছে। এর আগের চেয়ে ৯৮টি আসন এবার বেশি পেয়েছে তারা।
সম্প্রতি, জাপানিরা দৈনন্দিন জীবনের ভোগ্যপণ্যের উচ্চমূল্যের জন্য হিমশিম খাচ্ছিলেন। ৩ দশক ধরে মজুরি না বাড়লেও জিনিসপত্রের দাম গত ২ বছরে এত বেড়েছে, যা গত ৫০ বছরে দেখা যায়নি।
এই অক্টোবরে ভোটাররা যখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন, তখন খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি ডাক, ওষুধ, বিদ্যুৎ, গ্যাসের মতো নিত্যপণ্যের দাম আরো বেড়ে যায়।
এরই প্রতিফলন ঘটেছে রোববারের নির্বাচনে সেটিই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।