ডলারের অস্থিরতার কারণ চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

সম্প্রতি ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে ছয়টি কারণ চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ব্যাংকের মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা এ তথ্য জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর পেছনে কিছু কারণ মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করে
বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণগুলো হলো-
১. ডিসেম্বর মাস বছরের শেষ মাস। এ কারণে নানাবিধ ঋণ পরিশোধের ভ্যাল্যু ডেট (কিস্তি পরিশোধের সময়) এ মাসে পড়ায় বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে।
২. আইএমএফয়ের টার্গেট পূর্ণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে যা আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের যোগান বাড়াতে ভূমিকা রাখেনি।
৩. বাংলাদেশের রেটিং অবনমনের কারণে ফরেন ব্যাংকয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর করেসপন্ডেন্ট রিলেশনশিপ বাধাগ্রস্থ হয়েছে। এতে ইউপাস এলসি খোলা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, পেমেন্টের ম্যাচুরিটি ডেফার্ড করা সম্ভব হয়নি এবং অফশোর ব্যাংকিং ঋণের আন্তঃপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।
৪. ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বৈদেশিক দেনা পরিশোধ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার বাজারে চাপ বাড়িয়েছে।
৫. রেমিট্যান্স আহরণে অ্যাগ্রিগেটরদের একচেটিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগী ভূমিকা বাজারে বিনিময় হারকে অস্থিতিশীল করেছে।
৬. বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ইনফ্লো-আউটফ্লো মিসম্যাচের কারণেও ডলার বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে।

হোসনে আরা শিখা জানান, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা নিরসনে গৃহীত ব্যবস্থা হিসেবে দুটি পদক্ষেপ কার্যকর করা হয়েছে।

১. ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স আহরণের বিনিময় হার সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা প্রতি ডলার নির্ধারন করেছে।
২. বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ড্যাশবোর্ড প্রতিষ্ঠা করে ডাটা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।