বিগত সরকারের ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ ও বৈষম্যমূলক ফারের (এফএআর) কারণে ঢাকা শহরের আবাসন উন্নয়ন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ঢাকার ভূমি মালিক সমিতি। তারা জানান, ঢাকার দুই লক্ষাদিকের উপরে ভূমি মালিকরা ভয়ংকর ক্ষতির মুখে পড়েছি। এই বৈষম্য মূলক ডাপের কারণে দ্রুত বাড়ছে ফ্ল্যাটের দাম এবং বাড়ি ভাড়া। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা ২০০৮ অনুসারে ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ঢাকার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতির নেতারা।
রোববার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকালে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব অভিযোগ করেন তারা। ক্ষতিগ্রস্থ ঢাকার ভূমি মালিক সমিতির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধে কয়েকশো ভূমি মালিক অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে ঢাকার ভূমি মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, রাজধানীকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ট্যাগ দিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে রাজউকের কতিপয় কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় ২০২২ সালের ২৩শে আগস্ট ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ প্রনয়ণ করা হয়। ঢাকা শহরের বহুবিধ সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে একমাত্র ভবন নির্মাণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এটা করা হয়। যা নাগরিকদের মধ্যে বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি তৈরি করে। ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ এ ঢাকা শহরের মাত্র ২০ শতাংশ পরিকল্পিত এরিয়ায় সু-উচ্চ ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ এরিয়াকে অপরিকল্পিত এরিয়ার ট্যাগ দিয়ে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন হ্রাস কমিয়ে দেওয়া হয়।
তারা বলেন, এই শহরের প্রকৃত ভূমি মালিকরা ভবন নির্মাণ করতে পারছেন না। নতুন করে কোন ভবন নির্মাণ করতে গেলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। একই পরিমাণ জমিতে আগে যেখানে ১০ তলা ভবন হতো ফার ইস্যুতে এখন সেখানে ৫ তলা ভবন পাওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি ও চরম বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছি। এতে ঢাকা শহরের প্রকৃত ভূমি মালিকদেরকে এই শহরের বাহিরে বের করে দেওয়ার সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করা হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ ও বৈষম্যমূলক ফারের (এফএআর) সংশোধন জান ভুমি মালিকরা।
আগামী ১৫ ই জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা।