অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট প্রস্তাবে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করহার না বাড়ায় জনস্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।
সোমবার (২ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বাজেট পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় একথা জানায় বিএনটিটিপি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপর অগ্রিম কর ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করা সিগারেট পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক দ্বিগুণ করে ১৫০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত ইতিবাচক হলেও কোনো ধরনের তামাকজাত দ্রব্যেরই মূল্য ও করহার বাড়ানো হয়নি। এতে দেশের জনস্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুনঃ ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে শঙ্কায় এফআইসিসিআই
বাজেট প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনটিটিপির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারের বাজেটেও তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করারোপে ত্রুটিপূর্ণ অ্যাডভেলোরেম পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম অ্যাডভেলোরেম পদ্ধতির পরিবর্তে এবার তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা হবে। আর সেটা করা হলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি তামাকের ব্যবহার কমাতেও কার্যকর অবদান রাখতো।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।