জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে পড়েন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। এরপর সেপ্টেম্বরে আফ্রিদি ও তার বাবা মাইটিভির মালিক নাসির উদ্দিন সাথীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয় যাত্রাবাড়ী থানায়।
যেখানে প্রধান আসামি করা হয় শেখ হাসিনাকে। আসামির তালিকায় ২ নম্বরে ছিলেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ১১ নম্বর আসামি তৌহিদ আফ্রিদি এবং ২২ নম্বর আসামি নাসির উদ্দিন সাথী।
এই ঘটনার পর থেকেই একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান আফ্রিদি। গত দুই মাসেও কোনো সাড়া শব্দ শোনা যায়নি তার।
তবে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত থেকেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিদির সঙ্গে এক তরুণীর কিছু বিয়ের ছবি। দাবি করা হচ্ছে, সেই তরুণীর নাম রাইসা। যিনি টিকটকে বেশ পরিচিত। তাকেই ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেছেন এই ইউটিউবর।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ফোনকল বা মেসেজের কোনো রিপ্লাই দেননি তিনি। বিয়ে করেছেন কি না— সে বিষয়েও কোনো উত্তর দেননি।
ছবিগুলো সম্পর্কে আফ্রিদির ঘনিষ্ঠমহলের কয়েকজন জানিয়েছেন, ‘এই ছবিগুলো আফ্রিদির বড় বোনের বিয়ের সময়ে তোলা হতে পারে। সেগুলোই হঠাৎ করে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।’
তবে ভিন্ন তথ্যও দিয়েছেন কয়েকজন। তাদের দাবি, ‘আফ্রিদির নামে বর্তমানে মামলা রয়েছে, এছাড়াও সরকার পতনের পর বিতর্কিত বেশ কিছু ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে চাচ্ছেন আফ্রিদি। বিয়ে করলেও পুরো আয়োজনটি ঘরোয়াভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে আত্মীয়স্বজন বাদে কাউকে রাখা হয়নি।’
তারা আরও বলছেন, আফ্রিদি বিয়ে করেছেন এটা সত্যি। পুরো বিষয়টি তাদের পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। তারা চাচ্ছেন না, এটা নিয়ে নতুন কোনো আলোচনার সৃষ্টি হোক।
ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আলোচিত তৌহিদ আফ্রিদি। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে রয়েছে তার লাখ লাখ অনুসারী। বর্তমানে তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৬৩ লাখের বেশি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এই ইউটিউবারের নীরব থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভক্তরা। এরপর থেকেই নিজেকে আড়ালে নিয়ে যান আফ্রিদি। এরই মধ্যে শোনা গেল তার বিয়ের খবর।