দুই দিনের বৃষ্টিতে দেশি ফলের দাম কমেছে

গরমে ফলের চাহিদা বাড়ে, সঙ্গে বাড়ে দামও। তীব্র গরমে এক গ্লাস ফলের জুস কে না ভালবাসে। তবে গত ২ দিন বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা কমেছে ফল এবং জুসের চাহিদা। ফলে দেশি ফলের দামও কিছুটা কমেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর-১ কাঁচাবাজার, মিরপুর- ১০ ফলপট্টি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কচুক্ষেত বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

রাজধানীর বাজারে এখন দেশি ও বিদেশি ফলের সরবরাহ স্বাভাবিক। তবে ক্রেতা সমাগম তুলনামূলক কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মিরপুর- ১ ফলের আড়তের ব্যবসায়ী আহমেদ আলী বলেন, গত দুই দিনের বৃষ্টিতে পেয়ারা, তরমুজ, বাঙ্গিসহ কিছু ফলের দাম কমেছে। তবে আনারস, সফেদা, ডাবসহ কিছু ফলের দাম আগের মতোই আছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবরি কলা পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকায় এক ডজন, চম্পা কলা ৬০ টাকা ডজন। এছড়া গোল বাঙ্গির কেজি ৬০ টাকা, লম্বা বাঙ্গি ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে তরমুজের সরবরাহ স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তরমুজের দাম কিছুটা কমেছে। ছোট আকারের তরমুজ ৩০-৪০ টাকা কেজি এবং বড় আকারের তরমুজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

ছোট আকারের ডাব মিলছে ১০০ টাকায়। এছাড়া মাঝারি আকারের ১৫০ টাকা এবং বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা প্রতি পিস।

বাজারে আজ আনারসের সরবরাহ কিছুটা কম। ছোট আকারের আনারস বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা প্রতি পিস, বড় আকারের ৭৫-৮০ টাকা। পেয়ারা প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সফেদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি।

বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে মিলছে কাঁচা আম। প্রতি কেজি কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

কথা হয় আমজাদ নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, গরম যে হারে বাড়ছে ফলের দাম তো বাড়বেই। তবে গত দুই দিন বৃষ্টি হওয়ায় দাম কিছুটা কম। সামনে তাপপ্রবাহ আসলে দাম আবার বাড়বে।