সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে দ্বিতীয় দফা অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। খবর এএফপির।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ইউনের পদত্যাগের দাবিতে দিনের শুরু থেকেই রাজধানী সিউলে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছেন লাখো জনতা। এক সপ্তাহ আগে অবশ্য প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের একটি উদ্যোগ পার্লামেন্টে ভোটাভুটির সময় ক্ষমতাসীন দলের অধিবেশন বর্জনের কারণে ভেস্তে যায়। তবে হাল ছাড়েনি বিরোধী দল, তারা আজ আবারও স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (গ্রিনিচ মান সময় ৭টা) অভিশংসনের আরেকটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থানকারী ২৪ বছর বয়সী নারী ইউ হি-জিন বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে আমি বেশ উদ্বিগ্ন আর এ কারণে আমি জাতীয় পরিষদে এসেছি।’
হি-জিন আরও বলেন, ‘আজ যদি ইউনকে অভিশংসন না করা যায় তবে, আমি আগামী সপ্তাহে আবার আসব, যতক্ষণ না তাকে অভিশংসন করা না হচ্ছে আমি প্রতি সপ্তাহে আসতেই থাকব।’
পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব পাস করতে ২০০ সদস্যের ভোট প্রয়োজন। আর এর অর্থ হচ্ছে ৩০০ আসনের পার্লামেন্টে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যদের ভোট পেতে বিরোধী দলকে ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আটজন সদস্যের সমর্থন পেতে হবে। পিপিপির সাতজন পার্লামেন্ট সদস্য ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তারা অভিশংসন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবেন।
এদিকে, পার্লামেন্টের বাইরে লাখো জনতা তীব্র শীত উপেক্ষা করে অবস্থান নিয়েছে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের পক্ষে। তারা খাবার আর কফি নিয়ে সেখানে জড়ো হয়েছেন।
অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি বলেছে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার অর্থ হলো দেশের সংবিধান, আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার ভবিষ্যৎকে রক্ষা করা।