দ্বৈত এনআইডি নেই, পুরোপুরি নিরাপদ ডেটাবেজ : ডিজি

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ডাটাবেজে আর কোনো দ্বৈত ভোটার বা এনআইডি নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।

তিনি বলেন, এনআইডি ডাটাবেজে ৫৮৬ জনের দ্বৈত এনআইডি ছিল। এসব নাগরিকের প্রথম এনআইডিটি রেখে দ্বিতীয়টি বাদ হেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

এনআইডি ডিজি বলেন, সর্বশেষ দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী ৫৮৬ জনকে আইডেন্টিফাই করেছিলাম, তাদের আমরা নিষ্কৃতি দিয়েছি। যেহেতু দুটো ছিল, তাই লক ছিল, তাই তারা কোনোভাবে নাগরিক সেবা নিতে পারছিলেন না। যেহেতু প্রথমটা রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করে দিয়েছে, এখন তাদের প্রথম এনআইডি ওপেন হয়ে গেছে। তারা নাগরিক সেবা পাবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৫৮৬ জনের দ্বৈত এনআইডি শনাক্ত হওয়ায় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বৈত এনআইডিধারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। দুই সপ্তাহের মাথায় এ সমস্যার সমাধান করা হলো। একই ব্যক্তির দুটি এনআইডি বা ভোটার তালিকায় দুটি তথ্য রয়েছে সেগুলো ইসির সিদ্ধান্তক্রমে প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করে দিয়েছি। এ মুহূর্তে আমাদের জানামতে দুটি এনআইডি আর কারও নেই। যদি কারও ব্যাপারে আইডেন্টিফাই হয়, তাহলে একই নিয়মে ব্যবস্থা নেবো।

ডেটাবেজের নিরাপত্তা নিয়ে এএসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের ডেটাসেন্টার যেহেতু ২৪ ঘণ্টা চলে, এটা মাঝে মাঝে আমরা একটু বন্ধ করি, আবার চালু করি। মেনটেইনেন্সের জন্য যেমন পরশুদিনও (শনিবার) আমরা বন্ধ করেছিলাম, চার ঘণ্টা পর চালু করতে পেরেছি। এরকম রেগুলার মেনটেইনেন্স হিসেবে আমরা কাজ করি।

ডিজি জানান, এ ধারাবাহিকতায় ডেটাসেন্টার নিজস্ব জনবল দিয়ে ‘চেক’ করা হয়েছিল। কোনো সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে কিনা, আপডেটেড রয়েছে কিনা। আমাদের অবস্থান থেকে যতগুলো ইনেশিয়েটিভ নেওয়া দরকার, সে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি। এখন আমাদের এ ডেটাসেন্টার পরিপূর্ণ নিরাপদ। এ ডেটাসেন্টার নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি না। কিন্তু এটা যেহেতু ডেটাসেন্টার, তাই কোনোভাবেই যেন ডেটা লিক না হয় অথবা অন্য কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য দৈনন্দিন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও তথ্যভান্ডারকে নিরাপদ রাখতে যতরকম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি