দেশের ৪৭ শতাংশ মানুষ কোনো ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রমের মধ্যে নেই। দেশের ৬ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে আর্থিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নতুন ফিনটেক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক জিয়াউল হক।
বাংলাদেশ ইনভেস্ট সামিটের প্রথম দিন সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘আনলকিং বাংলাদেশ ফিনটেক পটেনশিয়াল’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় এ আহ্বান জানান বাংলাদেশে ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল না হলেও, ২০৩৫ সালের মধ্যে আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমিতে পৌঁছাবো। ৪৭ শতাংশ ব্যাংকিং কার্যক্রমে নেই। ফিনটেক উদ্যোক্তাদের এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আমরা উদ্যোক্তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করতে চাই।
উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের সহযোগিতা করবে। মন খুলে কথা বলুন, দ্রুত আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে।
আইফার্মার চেয়ারম্যান ফাহাদ ইফাজ সেমিনারের সঞ্চালনা করেন।
তিন বলেন, ২০১৯ সালে যখন শুরু করি তখন অথৈ সাগরে পড়ে যাই। কোথা থেকে কী শুরু করবো বুঝতে পারছিলামনা। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নানান আইন ও বিধি আছে।
নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পণ্যের প্রতি যত্মশীল হতে হবে। কাজ শুরু করুণ। লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক সময় সাপেক্ষ।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার খালিদ হোসেন বলেন, বর্তমানে ৫-৬ টা ব্যাংক ফিনটেকের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছে। বাকী ব্যাংকগুলোর সেই সক্ষমতা নেই।
অনেক উদ্যোক্তার কোনো জবাবদিহি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তিন বছর এক উদ্যোক্তার পিছনে ঘুরলাম। অথচ তিনি বলছেন, তার এপিএ হয়নি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সময়ে এ ধরনের অভিযোগ মানা যায় না।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ফিন্যান্সিয়ারি সেক্টর স্পেশালিস্ট ক্যারন কারপেনেস্কি, টালি খাতার সিইও শাহদাত খানও এতে উপস্থিত ছিলেন।