নাবিল গ্রুপের ৯৮ কোটি টাকা ফ্রিজ ও ৫৯ একর জমি ক্রোক

নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, তার পরিবারের সদস্য ও তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ৭৩টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৯৮ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ২৮০ টাকা আছে। এছাড়া গ্রুপটির ৫৯ একর জমি ক্রোকের (জব্দ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। ক্রোক করা সবগুলো জমিই রাজশাহীর পবা থানার বীরগোয়ালীয়া মৌজার।

রোববার (৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান এসব ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ ও সম্পদ ক্রোক চেয়ে আবেদন করেন।

ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদনে বলা হয়েছে, নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা ও সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে জাল জালিয়াতি, প্রতারণা ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে।

উক্ত হিসাবগুলোতে বর্ণিত অর্থ যেকোনো সময় উত্তোলনপূর্বক হস্তান্তর, রূপান্তর কিংবা স্থানান্তরিত হয়ে বিদেশে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানিলন্ডারিং অপরাধে অনুসন্ধানের শেষ পর্যন্ত উক্ত অর্থের কোনরূপ হস্তান্তর, রূপান্তর বা স্থানান্তর বন্ধ করা প্রয়োজন। নতুবা অনুসন্ধান পরবর্তী আইনি কার্যধারা গ্রহণসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অপরাধলব্ধ অর্থ পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পদ ক্রোকের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্য ও সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে জাল জালিয়াতি, প্রতারণা ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণপূর্ক আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

উক্ত স্থাবর সম্পদগুলো যেকোনোভাবে বিক্রয় বা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। মানিলন্ডারিং অপরাধে অনুসন্ধানের শেষ পর্যন্ত উক্ত সম্পদের কোনোরূপ হস্তান্তর, রূপান্তর বা স্থানান্তর বন্ধ করা প্রয়োজন। নতুবা অনুসন্ধান পরবর্তী আইনি কার্যধারা গ্রহণসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অপরাধলব্ধ অর্থ পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ও পরবর্তী আইনি কার্যধারা গ্রহণসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অপরাধলব্ধ অর্থ পুনরুদ্ধারের স্বার্থে অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে এযাবৎ প্রাপ্ত স্থাবর সম্পত্তিগুলো অবিলম্বে ক্রোক করা আবশ্যক।