নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার

আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার। উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় বিকাল ৪টায় শুরু হবে দু’দলের লড়াই। জয়খরা কাটানোর মিশনের শুরুতেই স্কটল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ পেয়ে স্বভাবতই আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ, দলটির বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে কখনও হারেনি তারা। উদ্বোধনী ম্যাচ জিতে বাকি পথেও লড়াকু পারফরম্যান্সে এবারের বিশ্বকাপ স্মরণীয় করতে রাখতে চান টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

বিশ্বকাপের এবারের আসরের আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু নিরাপত্তার অযুহাতে শেষ পর্যন্ত আরব আমিরাতে আসর আয়োজন করছে আইসিসি। প্রথমবারের মতো নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে হতে চলেছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অক্টোবর থেকে দেশটিতে শীতকাল ধরা হয়ে থাকে। দিনের গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। মরুর দেশ হওয়াতে আবহাওয়া অনেকটা শুষ্ক থাকবে।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ চার ম্যাচেই দাপুটে জয় পেয়েছে টাইগ্রেসরা। সবশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তারা। ৫ অক্টোবর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ নারী দল। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি এবার বড় আশার কথা জানিয়েছেন। শুরুর ম্যাচ জিতে এবার সেমি-ফাইনালে ওঠার জন্য লড়াই করবেন তারা।

এখন পর্যন্ত হওয়া নারী বিশ্বকাপের আট আসরে পাঁচটিতে খেলেছে বাংলাদেশ। প্রতিবারই প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ২১ ম্যাচ খেলে মাত্র ২টিতে জিতেছে লাল-সবুজ দল। ২০১৪ থেকে শুরু করে এটি বাংলাদেশের টানা ষষ্ঠ অংশগ্রহণ।

এবারের টুর্নামেন্ট দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে মেয়েদের ক্রিকেট। যেখানে ছেলেদের সমান অর্থ পুরস্কার রেখেছে আইসিসি। মেয়েদের গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তুলনায় এবার মোট প্রাইজমানি তিন গুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৭.৯৫ মিলিয়ান মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।

মেয়েদের বিশ্বকাপে এবারই প্রথমবার ব্যবহার করা হবে স্মার্ট রিপ্লে পদ্ধতি। এর আগে এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা গিয়েছিল ইংল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ ‘দ্য হান্ড্রেড’ এবং ২০২৪ আইপিএলের আসরে। এবার সেটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও প্রথমবার প্রয়োগ করা হবে। এ বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে আইসিসি। ‘প্রতিটি ম্যাচ কভারে নূত্যতম ২৮টি ক্যামেরা কাজ করবে। নানা আঙ্গিকে বিশ্লেষণ ও দৃশ্যায়নের মানও থাকবে উন্নত।’