পোশাক শ্রমিকদের অধিকার, পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি এবং জনগণের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন বিজিএমইএ প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা এবং একটি নিরাপদ, ন্যায্য এবং আরো টেকসই পোশাক খাত তৈরি করতে সরকার, শিল্প স্টেকহোল্ডার এবং শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার উপর আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোসেন গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সোর্সিং জার্নাল এর মর্যাদাপূর্ণ ফল সামিটে অংশ নিয়েছেন। বিজিএমইএ’র সহায়ক কমিটির সদস্য মিরান আলীও এ সামিটে যোগ দেন। এতে বৈশ্বিক পোশাক এবং সোর্সিং খাত থেকে আগত প্রধান শিল্প নেতারা, বিশেষজ্ঞ এবং অংশীজনরা একত্রিত হয়েছিলেন।
ইভেন্ট চলাকালীন মূল মঞ্চে মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং মিরান আলী উভয়েরই সাক্ষাৎকার নেয়া হয়, যেখানে তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের রূপান্তরের অগ্রগতিগুলো এবং দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত বৈপ্লবিক পরিবর্তনগুলো তুলে ধরেন।
মিরান আলী বৈশ্বিক ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টা এবং দায়িত্বশীল ক্রয় চর্চায় বাংলাদেশের উদীয়মান নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। কিভাবে দেশটি পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া গ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছে এবং পাশাপাশি এথিক্যাল সোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে অবস্থান গ্রহন করেছে, সেটিও তিনি জোরালোভাবে তুলে ধরেন।
সামিট চলাকালে পুরোটা সময় জুড়ে মোঃ আনোয়ার হোসেন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) এর সভাপতির সঙ্গে বৈঠকসহ অগনিত অংশীজনদের সাথে যুক্ত ছিলেন। মো. আনোয়ার হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত এবং বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করার জন্য বিজিএমইএ থেকে অব্যাহত সহযোগিতার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।
জে. ক্রু, র্যাঙলার এবং টার্গেটসহ বেশ কয়েকটি বড় আমেরিকান পোশাক ব্র্যান্ড এবং প্রযুক্তি সমাধান সরবরাহকারীদের সাথে দেখা করেছেন বিজিএমইএ প্রশাসক। বৈঠকগুলোতে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রতিযোগি সক্ষমতা বাড়ানোর উপর নজর দেয়া হয়েছিলো।