আগামী ২৮ ভোরে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরে নিক্কিই ফোরামে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সামনে রেখে ৬–৭টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি রাখছে দু’দেশ।
নিক্কিই ফোরাম আগামী ২৯ ও ৩০ মে ‘ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আগামী ৩০ মে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করবেন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। ৩১ মে ঢাকায় ফেরত আসার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের।
দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশিদারিত্বে রয়েছে। আসন্ন শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের সার্বিক বিষয়গুলো ভবিষ্যত দিক নির্দেশনা ঠিক করা হবে। বৈঠকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং বিভিন্ন খাতভিত্তিক সহযোগিতা বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুগুলো আলোচনায় থাকবে।
সফরকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু সমঝোতা নিয়ে দুই দেশ কাজ করছে। এর মধ্যে বাজেট সহযোগিতা, প্রকল্পগুলোতে অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্ট (ওডিএ), বিদ্যুৎখাতে কৌশলগত সমঝোতা, নারায়নগঞ্জে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজে) ভূমি নিয়ে সমঝোতা, মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক প্রবাসী কল্যাণে সমঝোতা, বিনিয়োগ উন্নয়ন সমঝোতা এবং অথৈনিতক অংশিদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) নিয়ে আলোচনা চলছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে জানা গেছে, এবারের সফরে ১০০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা আশা করছে ঢাকা। ২০২৩ বাংলাদেশকে সাড়ে ২২ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিয়েছে জাপান। আগেরবার ঋণের সুদ হার ১ দশমিক ৬ শতাংশ, এককালীন ফ্রন্টএন্ড ফি দশমিক ১ শতাংশ ছিল। তা ঋণটি ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে জাপান সরকার বাংলাদেশকে মোট সাড়ে ৬৮ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার ঋণ দিয়েছিল।