নিজের সবচেয়ে পছন্দের গোল কোনটি জানালেন মেসি

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অসংখ্য গোল করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। পেশাদার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৮৬০ গোল করেছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দল, বার্সেলোনা, প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও ইন্টার মায়ামির জার্সিতে। এর মধ্যে নিজের সবচেয়ে পছন্দের গোল বেছে নেওয়া কঠিনই মনে হয়েছিল মেসির জন্য। তবে সেই কঠিন প্রশ্নের উত্তর তিনি বেশ সহজেই দিলেন।

দাতব্য সংস্থা ইন্টার মায়ামি ফাউন্ডেশনের একটি প্রচারধর্মী ভিডিওতে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। সেখানে নিজের সবচেয়ে পছন্দের গোল প্রসঙ্গে মেসি বলেন, ‘আমার এমন অনেক গোল আছে যেগুলো সম্ভবত বেশি সুন্দর ও মূল্যমানও তুলনামূলক বেশি। তা সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (বার্সেলোনার হয়ে ২০০৯ সালে) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেড দিয়ে করা গোলটি আমার সবসময়ই পছন্দের।’

নিজের ক্যারিয়ারে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন মেসি। সবকটিই নিজের সবচেয়ে স্মরণীয় অধ্যায় বার্সেলোনার হয়ে। এর মধ্যে প্রথমটি আসে ২০০৯ সালে। যেখানে ফাইনালে তিনি ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোলটি করেছিলেন। স্প্যানিশ কিংবদন্তি জাভি হার্নান্দেজ ম্যাচের ৭০ মিনিটে ডান প্রান্তে বক্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে ক্রস করেন। অরক্ষিত মেসি লাফিয়ে উঠে হেড দিয়ে বল জালে জড়ান। আর সেটি ছিল কাতালানদের জন্য শিরোপানির্ধারণী গোল। ২–০ তে এগিয়ে যাওয়া বার্সেলোনা ইউনাইটেডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতে নেয়।

পায়ের কারিকুরিতে গোল করে ফুটবলভক্তদের বুঁদ করে রাখলেও, হেড দিয়ে অতটা গোল করতে অভ্যস্ত নন মেসি। তাতে উচ্চতা ও বাস্তবতা মিলিয়ে কিছু যুক্তিও থাকতে পারে। সব মিলিয়ে হেডে এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা এখন পর্যন্ত করেছেন মাত্র ২৮ গোল হেডে। অথচ তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো হেডে ১৫৪টি গোল করেছেন। বর্তমানে আল-নাসরের এই পর্তুগিজ সুপারস্টার ছুটছেন ১০০০ গোলের পথে।

মেসির পছন্দের এই গোলের চিত্রকর্ম ইন্টার মায়ামি ফাউন্ডেশনের দাতব্য কাজে নিলামের জন্য তোলা হবে। সেটিকে চিত্রকর্মে রূপ দেবেন শিল্পী রেফিক আনাদোল। এক্ষেত্রে তাদের অনুমোদনও দিয়েছে উয়েফা। আগামী ১১ জুন নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির মাধ্যমে নিউইয়র্কে উন্মোচন করা হবে। নিলাম শেষ হবে আগামী ১১ জুলাই।

পছন্দের গোলের চিত্রকর্ম নিলামে তোলা নিয়ে মেসি বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যেই জানি যে রেফিকের কাজ কতটা বিশেষ। আমরা মায়ামিতে দেখা করছিলাম এবং এখন সে কীভাবে এই গোলটিকে, খেলার মুহূর্তটিকে একটি অনন্য শিল্পকর্মে রূপ দিতে পারে সে আবিস্কার করা রোমাঞ্চকর ব্যাপার হবে।’ নিলামে ওঠা আর্থিক অঙ্কের পুরোটাই দাতব্য কাজে ব্যবহৃত হবে।