পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা একটি ক্রান্তিকাল পার হয়ে বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছি। আর এটি আপনাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী এবং আমরা কীভাবে কাজ করবো সে বিষয়ে উপস্থিত সবার অভিজ্ঞতা রয়েছে। থানার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সমাজে অপরাধ যাতে না হয় তার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা; অপরাধের সঠিক কারণ নির্ণয়; অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তদন্ত ও অনুসন্ধান করা।

মামলা নিষ্পত্তি ও মূলতবি ওয়ারেন্ট তামিলের ওপর গুরুত্বারোপ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মামলা নিষ্পত্তিতে অযথা বিলম্ব না করে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের কাছে না গেলে ইন্টেলিজেন্স পাওয়া যাবে না। তথ্য পাওয়ার জন্য নাগরিকদের কাছে যেতে হবে ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।

উপস্থিত সবার উদ্দেশে ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, থানা এলাকার অপরাধের ধরন বিশ্লেষণপূর্বক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রদত্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ওসিদের উদ্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষায় থানার অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে থানা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সফল হবে সে থানার ওপর জনসাধারণের ততবেশি আস্থা তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সকলকে পরিবর্তনের অংশীদার হতে হবে।

পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেন, সামনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে সে জন্য এখন থেকেই সবাইকে সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। সিনিয়র অফিসাররা পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করবেন এবং কমিটির লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক পুলিশিংয়ের জন্য আমাদের কাজে গতি বাড়াতে হবে। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আমরা কাজ করছি। সরকারের নির্দেশ মেনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে মহানগরবাসীর আস্থা অর্জনে সবাইকে আন্তরিকতার দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আজকের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বিগত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন বিভাগের অফিসার ও ফোর্সদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপির সকল থানার ওসি ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।