কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসান করার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে এবার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেইসঙ্গে দুই দফা দাবি আদায় না হলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি দেন।
সেই সঙ্গে মিথ্যা মামলা দায়ের ও চাকরি থেকে অবসানের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে দেশের ১২টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৬ অক্টোবর) ২০ জন জিএম, ডিজিএম ও এজিএমের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপ ছাড়াও নির্দেশনা অবজ্ঞাসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে তাদের চাকরি থেকে অবসানের আদেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এরই মধ্যে ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি চাকরির অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার না করলে সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন সমন্বয়করা। সেই সঙ্গে আরইরিব চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আরইবির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগও আনা হয়েছে।