যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি আলোচনায় অংশ নেন
পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ইতিবাচক’ ও ‘গঠনমূলক’ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সরাসরি নয়, বরং ওমানের মধ্যস্থতায় বার্তা বিনিময়ের মাধ্যমে হয়েছে।
ওমানের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধি দল এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্বাস আরাকচি নেতৃত্বাধীন ইরানি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পৃথক কক্ষে অনুষ্ঠিত দুই পক্ষের এই আলোচনায় বার্তা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন। উভয় পক্ষ আগামী সপ্তাহে আবার বৈঠকে বসার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল- ইরানের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমিত করা। আলোচনায় বন্দি বিনিময় ও কিছু সীমিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ও গুরুত্ব পেয়েছে। উভয় পক্ষই স্বল্পমেয়াদি একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে আগ্রহী বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্বাস আরাকচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার মনে হয়, আমরা একটি সম্ভাব্য রূপরেখার খুব কাছাকাছি পৌঁছেছি। যদি আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি, তবে তা হবে একটি বড় অগ্রগতি।”
আরাকচি আরো বলেন, “আলোচনা হয়েছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং তা ছিল ‘উৎপাদনশীল ও ইতিবাচক’।”
আরাকচি জানান, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের পর এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের এমন আলোচনা হলো। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা শুধু আলোচনার জন্য আলোচনা করতে চাই না- আমরা স্বল্পমেয়াদে বাস্তব ফলাফল চাই।”
এদিকে হোয়াইট হাউজ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচির এই আলোচনা ‘খুবই গঠনমূলক’ হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “এই বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল। তবে বিশেষ দূত উইটকফের সরাসরি যোগাযোগ পারস্পরিক উপকারে পৌঁছানোর পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” উভয় পক্ষ আবার আগামী শনিবার ফের আলোচনায় বসবে।
উল্লেখ্য, ওমান এর আগেও ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ট্রাম্প গত সোমবার আকস্মিকভাবে এই আলোচনার ঘোষণা দেন।