বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে পুলিশের পোশাকে অন্য দেশের নাগরিকদের থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীনদের দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লব চলাকালে পুলিশের পোশাক পরা হিন্দিভাষীরা অতি কাছ থেকে গুলি করেছেন। তারা হিন্দিতে ছাত্রদের গালাগাল করেন। তাদের আক্রমণে ছিল অসম্ভব নিষ্ঠুরতা। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন এবং তদন্ত সংস্থার টিম।’
এ সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে প্রবেশ করে অন্য কোনো দেশের নাগরিকরা যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন, তাদের বিচারের ক্ষমতাও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো দেশের নাগরিক যদি এই দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত হয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও তদন্ত হবে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। বেশ কয়েকজন আহত ছাত্র-জনতা, যাত্রাবাড়ী,গাজীপুর এবং মাওনাতে যারা ছিলেন তাদের কাছ থেকে প্রমাণ পাচ্ছি যে, তাদের কাছে এসে খুব কাছ থেকে পুলিশের পোশাক পরে যারা গুলি করেছেন তারা বাংলা ভাষায় কথা বলেননি। তারা হিন্দিতে কথা বলেছেন, গালাগাল করেছেন। তাদের আচরণ ছিল অসম্ভব ব্রুটাল। আমরা এটি পর্যালোচনা করবো। পর্যালোচনা করে আমাদের আইনে যে দেশের নাগরিকই হোক, বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ করে, এই আদালতের সেটির বিচারের ক্ষমতা রয়েছে।’
বিদেশি ভাষায় কথা বলে ভিকটিমদের ওপর হামলার বিষয় উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সরকারপক্ষের প্রধান আইনজীবী বলেন, ভিকটিমরা বলেছেন, বিদেশি ভাষা হিন্দিতে গালি দিয়েছে, কাছে এসে গুলি করেছে। ভিকটিমদের ওপর হামলা করেছে। ভিকটিমরা বলছেন, বিদেশি সৈন্যবাহিনী তাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা এসব তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছি।