পেট্রোবাংলায় হামলা তিতাস গ্যাস কর্মীদের

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক দল কর্মকর্তা-কর্মচারী পেট্রোবাংলায় বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিতাস গ্যাসে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ বলে জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধরা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার প্রধান কার্যালয় পেট্রো সেন্টারের নিচতলার রিসিপশনের গ্লাস ভাঙচুর করেন। এর পৌনে এক ঘণ্টা পর তারা তিতাস গ্যাসে ফিরে যান।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহর চুক্তি ৯ সেপ্টেম্বর বাতিল করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এরপর গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাস গ্যাসে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। শাহনেওয়াজ পারভেজ সৎ ও দক্ষ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। যা তিতাস গ্যাসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য শঙ্কার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।

তিতাস গ্যাস সূত্র জানিয়েছে, শাহনেওয়াজ পারভেজকে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে তিতাসের জিএম (জিএম ইএসডি) হেলাল তালুকদার, জিএম (অডিট) মো. রাশিদুল আলম, ডিজিএম (পিসিডি) ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের পিডি কাওসার আলম সুমন অন্যদের উসকানি দিতে শুরু করেন। অন্যদের ফুসলিয়ে পেট্রোবাংলায় গিয়ে হামলার নেতৃত্ব দেন।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, তিতাসের লোকজনের দাবি হচ্ছে তাদের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এমডি করতে হবে। কিন্তু পেট্রোবাংলার সিনিয়রিটির তালিকায় তিতাস গ্যাসের শীর্ষ ৫০-৬০ এর মধ্যেও কেউ নেই। আবার অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এটা করে একশ্রেণির লোকজন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।

তিনি বলেন, আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে অবহিত করেছি। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।