পেট ভালো রাখতে কী খাবেন?

পেট ভালো রাখতে

অন্ত্রের স্বাস্থ্য শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার কেন্দ্রবিন্দু। এটি হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মানসিক স্বচ্ছতা এবং মেজাজকে নিয়ন্ত্রণ করে। অস্বাস্থ্যকর অন্ত্র কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফাঁপা থেকে শুরু করে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং প্রদাহ পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকিছু খাবার রয়েছে যা পাচনতন্ত্রকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে এবং অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. পেঁপে: এনজাইম সমৃদ্ধ ফল

পেঁপেতে পেপেইন থাকে। এটি একটি প্রোটিওলাইটিক এনজাইম যা প্রোটিন হজমে সহায়তা করে এবং হজমের ব্যাধি কমায়। এটি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে বিশেষভাবে কার্যকর, সেইসঙ্গে পেট ফাঁপা এবং বদহজম প্রশমিত করে। এর ফাইবার এবং পানির পরিমাণ অন্ত্রের গতিবিধিও মসৃণ করে।

আরও পড়ুনঃ পেটের মেদ বাড়ায় যে ৬ খাবার

২. পাচনকারী এনজাইম: পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে

যেখানে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে হজম এনজাইম তৈরি করতে কার্যকরভাবে সক্ষম নয়, সেখানে আনারস, পেঁপে এবং গাঁজানো খাবারের মতো প্রাকৃতিক এনজাইম সমৃদ্ধ খাবার পুষ্টির শোষণ বাড়াতে এবং হজমের চাপ কমাতে পারে।

৩. দই: একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক

প্রোবায়োটিকের সবচেয়ে সহজ উৎসগুলোর মধ্যে একটি হলো দই। এটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে বৃদ্ধি করে। হজম বজায় রাখার জন্য নিয়মিত দই খান; এটি ল্যাকটোজ হজম উন্নত করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। অতিরিক্ত চিনি এড়াতে সাধারণ এবং মিষ্টি ছাড়া দই খান, যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

৪. আদা: পেট ফাঁপা প্রতিরোধী

বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা এবং বদহজম দূর করতে বহু শতাব্দী ধরে আদা ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এটি একটি হজম এনজাইম উদ্দীপক, গ্যাস্ট্রিক গতিশীলতা উদ্দীপক, সেইসঙ্গে অন্ত্রের ট্র্যাক্টকেও প্রশমিত করে। খাবারের পরে আদা চা পান করলে পেট ফাঁপা কমে এবং হজমের সমস্যা রোধ করে।

৫. হলুদ: অন্ত্রের প্রদাহ উপশম করে

হলুদের সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন অত্যন্ত প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অন্ত্রের প্রদাহ প্রশমিত করতে, বিশেষ করে আলসারেটিভ কোলাইটিস এবং ক্রোহন রোগে কারকিউমিন ব্যবহার করা হয়। হলুদ পিত্ত নিঃসরণকেও উদ্দীপিত করে, যা চর্বি হজম এবং পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।

এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ