প্রতিশোধ নয়, সুবিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন চায় সরকার : আইন উপদেষ্টা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন নিয়ে কথা চলছে। এরইমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টার দাবি, প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আইন সংশোধন নয় বরং সুবিচার নিশ্চিতেই তা করা প্রয়োজন। আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এমন মন্তব্য করেছেন।

মতবিনিময় সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের জন্য আটটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। সভায় আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রতিশোধের জন্য নয়, সুবিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। আইন বিশেষজ্ঞসহ সমাজের মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে ৪এ, ১৩এ ও ২০এ নামে ৩টি নতুন ধারা এবং ৩(৩) ও ১২(২) নামে ২টি নতুন উপধারা যুক্ত করা হয়। এছাড়া ধারা ৩(২)(এ), ৪(২) ও ১৯ ধারায় সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়।

প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত অনেকেই মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ, শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার, সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (মতামত) এস. এম. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব (বাজেট ও উন্নয়ন) রুহুল আমীন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দীকা, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব (ড্রাফটিং) মো. রফিকুল হাসান, আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ড. জাহেদুর রহমান, সানজিদা ইসলাম, শরিফ ভূঁইয়াসহ প্রমুখ নিজ নিজ অবস্থান এবং সংশোধনী বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।