প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসায়ীদের ওপর করের চাপ বাড়াবে বলে মনে করছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)। তাদের মতে, কর্পোরেট কর বৃদ্ধি এবং লাভ হোক বা না হোক, উৎসে কর বাড়ানোর কারণে আগামী অর্থবছরে ব্যবসায়ীরা বাড়তি চাপের মুখে পড়বেন।
বুধবার (৪ জুন) আইসিএবি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আইসিএবির মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আইসিএবির সভাপতি মারিয়া হাওলাদার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ বসু, সাবেক সভাপতি হুমায়ূন কবির এবং স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোংয়ের অংশীদার স্নেহাশীষ বড়ুয়া।
আরও পড়ুনঃ এবারের বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব : অর্থ উপদেষ্টা
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টার্নওভারের ওপর করের হার বাড়িয়ে ০.৬ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ এবং ব্যক্তিপর্যায়ে ০.২৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করা হয়েছে, যা করদাতাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আইসিএবি মনে করে, কোনো প্রতিষ্ঠান লাভ করলে তবেই কর আরোপ করা উচিত। শুধুমাত্র বিক্রির ভিত্তিতে ন্যূনতম কর আরোপ করনীতি অনুযায়ী সঠিক নয়। তাই তারা টার্নওভারের ওপর কর বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সংগঠনটি আরও জানায়, আগামী দুই বছরে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হলেও তা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য খুব একটা স্বস্তিদায়ক হবে না। তবে আগামী অর্থবছর থেকে কর রিটার্ন অনলাইনে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তকে তারা স্বাগত জানিয়েছে।
এবারের বাজেটে গৃহস্থালির কাজ ও নারীদের অবৈতনিক সেবাকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছে আইসিএবি।
স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহারে বড় পার্থক্য রাখা হয়েছে। আইপিওর মাধ্যমে যদি কোনো কোম্পানি ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ে, তাহলে কর হবে ২২.৫ শতাংশ। আর যদি সব লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়, তাহলে কর হার কমে ২০ শতাংশে দাঁড়াবে। তবে যারা ১০ শতাংশের কম শেয়ার ছাড়বে, তারা এই কর সুবিধা পাবে না। অথচ ১৯৯৯ সালে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, ১০ শতাংশের কম শেয়ার ছেড়েও কোম্পানিগুলো বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ূন কবির বলেন, ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি সহনশীল ও বন্ধুবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। করহারও যৌক্তিক হওয়া উচিত। তিনি বলেন, অতীতে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দিলেও তার কার্যকর সুফল মেলেনি।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।