প্রিয়নবী সা.-এর মক্কা বিজয়ের মুহূর্তটি যেমন ছিল

অষ্টম হিজরী। ১৭ রমজান। কালো পাগড়ী মাথায় বিজয়ী বীর বহুবছর পর ফিরছেন। না, বাহ্যিক কোনো শান নেই। আলাদা করে চোঁখে পড়ার মতো বাড়তি কোনো আয়োজন নেই। বরং তিনি বসেছেন উটের পিঠে দাসপুত্রের পেছনে। পথঘাট সব হাতের রেখার মতই পরিস্কার। তার উপর রয়েছে দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকায় এই পথে মুক্ত চলতে না পারার ব্যকুলতা। তবুও কোনো তাড়াহুড়ো নেই। উপর থেকে নিচে নামতে যেমন স্থিরতার প্রয়োজন তেমনি স্থির চলছে তাঁর উট। এই অনাড়ম্বর, জৌলসহীনতাই বরং মহাবিজয়কে মহিমান্বিত করেছে চূড়ান্তরূপে।

সর্বত্র এক আশ্চর্য ভাবগম্ভীর পবিত্র পরিবেশ। কারণ, আজকের মহাবিজয়ের যিনি সর্বাধিনায়ক-মুহাম্মাদে আরাবি- (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) সকল শান-শওকত, প্রতিপত্তি-প্রভাবের ঊর্ধে তাঁর অবস্থান। তাঁর আনন্দ প্রকাশ সকলের চেয়ে ভিন্ন। তাঁর বিজয় উদযাপনের তরিকা অভিনব। আপন প্রতিপালকের নির্দেশ ভিন্ন কদমমাত্র তিনি তুলেন না।

রাসূল সা. পথ চলছেন। সামনেই জন্মভূমি।

পবিত্র নগরী মক্কা। কুরআনের ভাষায় বালাদে আমীন। নিরাপদ শহর। জলাশয় থেকে পৃথিবীর প্রথম ভাসমান ভূ-ভাগ। এখানে রয়েছে বাইতুল্লাহ। মানবের জন্য নির্মিত আদি ঘর। আবহমানকাল থেকেই যার চারপাশে হচ্ছে প্রেমময় তাওয়াফের আমল। তাবৎ পাপী অন্তর, পাথর হৃদয় এ ঘরের কালো গিলাফ দর্শনে বিমুগ্ধ, বিগলিত হয়। রবের করুণায় সিক্ত মন উজ্জীবিত, বিমোহিত হয়।

পাশেই বরকতময় যমযম কূপ। যার স্বচ্ছ, মিষ্ট জল অনাহারীর ক্ষুধা দমায়, পিপাসার্তের তৃষ্ণা মিটায়। অদূরে সাফা পর্বত, মারওয়া পাহাড়। মিনা, মুযদালিফার মাঠ। সুবিশাল হারামের (সম্মানিত) বিস্তৃত সীমানা। যেখানে বিনা কারণে কোনো গাছের একটি পাতা ছেঁড়াও দণ্ডনীয়। হারামের বাইরেও রয়েছে পূণ্যভূমি আরাফার ময়দান। নানা গোত্র-বর্ণের মানুষের সম্মিলনস্থল।

কোরআনের মহাঘোষণা ‘ওআযযিন ফিন্নাসি বিল হাজ্জি’ -এর হুকুম আদায় করতে প্রতি বছর নানাবিধ বাহনে চড়ে এই মক্কা নগরীতে ছুটে আসে খোদাপ্রেমী অগণিত মানুষ। পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকলেও পরম ভক্তি-আবেগ নিয়ে এরা জড়িয়ে ধরে কাবা ঘরের গিলাফ। চোঁখে-মুখে ছিটায় যমযমের পবিত্র জল। মুযদালিফায় রাত কাটায়, আরাফায় ছোট শিশুটির মতো কান্নাকাটি করে।

হারামে প্রতি বছর জড়ো হয় অগণিত মানুষ; অথচ খোদার সবচেয়ে বড় আশেক যে, সর্ববিধ গুণে ভূষিত যে মানব তিনি আজ কতদিন হল যেতে পারছেন না মক্কায়। কাবা ঘরের একটু যিয়ারত করবেন! আরাফায় দোয়া-মোনাজাতে কিছুক্ষণ সময় কাটাবেন! সামান্য এই সুযোগটি দিচ্ছে না রুক্ষ দিল কাফেরের দল।
অথচ, এটা তাঁর জন্মভূমি। এখানে কেটেছে তার যৌবন জীবন। এই মানুষেরা, যারা আজ তাকে জন্মভূমিতে ফিরতে দিচ্ছে না; এদেরই মুক্তির চিন্তায় তিনি ছিলেন আকুণ্ঠ নিমজ্জিত। কতদিন খাওয়া ভুলেছেন, লু-হাওয়ার কবলে পড়া মুসাফিরের কাছে বালুঝড় উপেক্ষা করে ছুটেছেন দাওয়তের বাণী নিয়ে।

‘যদি তোমরা ঈমান গ্রহণ করে সতপথ অনুসরণ কর, তোমাদের জন্য থাকবে জান্নাতের অফুরান নেয়ামত। অন্যথায় জাহান্নামের মর্মন্তুদ শাস্তি’। এদের মুক্তির জন্য তার চেষ্টা ছিল এমনই নিরন্তর, স্বয়ং পরাক্রমশালী প্রভু কোরআনের আয়াত নাযিল করে বলছেন- (অর্থ:) ‘এরা ঈমান আনছে না এ কারণে আপনি নিজেকে শেষ করে দিবেন না’।

এক বছর আগে যদিওবা বাইতুল্লাহর তাওয়াফের তাওফিক হয়েছিল; তবে তিনদিনের বেশি মক্কায় অবস্থানের অনুমতি ছিল না। তৃতীয় দিনের রাতটুকু না পেরুতেই সরদারদের তাড়া শুরু হল-সময় তো শেষ প্রায়। এখনও কী করছো? যেখানে জন্মেছেন তিনি, যেসব পথের সাথে মিশে আছে কৈশরের স্মৃতিকাতরতা; সেখানে একটু বসবেন, নিকটজনদের সাথে খোশগল্প করবেন-এতটুকু সহ্য করতে পারছে না মুর্দাদিল কাফেরেরা।

তারও একবছর আগে পৌঁছেছিলেন মক্কার উপকণ্ঠ পর্যন্ত। তবে সেবার ফিরতে হয়েছিল সন্ধিচুক্তির একগাদা শর্তের উপর সাক্ষর করে। বীরবাহু উমর মানতে পারছেন না আপাত অবমাননাকর সেসব শর্ত। বিনয়ের অবতার আবু তুরাব পর্যন্ত ‘মুহাম্মদে’র পাশ থেকে ‘রাসূলুল্লাহ’ শব্দ মুছার নববী নির্দেশ পালনে অপারগতা দেখালেন। কোরআন অবশ্য ভিন্নভাবে দেখেছে ঘটনাটি।

উমর, আলীর দৃষ্টি বর্তমান পর্যন্তই নিবদ্ধ থাকলেও ভবিষ্যত বিবেচনায় ব্যর্থ মনোরোথে এবারের মতো মদিনায় ফেরত যাওয়াকেই মহাবিজয়ের দ্বার আখ্যায়িত করা হয়েছে রবের শ্বাশতে পয়গামে। নাজিল হল সূরাতুল ফাতহ। প্রশান্তির বিভায় উদ্ভাসিত হল সাহাবাদের অন্তর। কেটে গেল সকল দ্বিধা সংশয়।

মক্কার পৌঁছার বেশি দেরি নেই।

বিশেষ প্রয়োজন না হলে তলোয়ার খাপমুক্ত করতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে সাহাবাদের।
উপত্যকাবাসীর যারপরনাই জুলুম নিগ্রহ সত্ত্বেও সদাচারের যে পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করলেন রাসূল মক্কা বিজয়ের পর, তা নবী চরিত্রের মহানুভবতার অনুপম দৃষ্টান্ত।

কাবা চত্বরে নামাজ পড়ার সময় পিটে ময়লার স্তুপ চাপিয়ে দেওয়া, ইসলাম গ্রহণের কারণে সাথীদের হেয়, লাঞ্চিত এবং নিপীড়ন করা, শিবে আবি তালিবে অবরোধসহ কত ভীষণ, ভয়ঙ্কর, নির্মম নির্যাতনের দুঃসহ স্মৃতি, এমনকি মক্কা ছেড়ে যাওয়ার দিনের অসহায়ত্বের কথা কিছুই তো ভুলবার মতো নয়। তবে দয়াময় রহমানের বিশেষ মনোনীত যিনি, ‘রাহমাতুল লিল আলামীন’ যার উপাধি, তিনি তো প্রতিশোধপরায়ন হতে পারেন না। এটা তো তার খুলুকে আযিম ভূষণকে কলঙ্কিত করবে।

সেই পৃথিবী সৃষ্টির সূচনাকাল থেকে হারাম শরিফে হত্যাকাণ্ডের ‘অবৈধতা’ রাসূলের সম্মানার্থে মক্কা বিজয়ের সময় কয়েক মুহূর্তের জন্য উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল তবুও এত বড় বিজয় সমাধিত হয়েছে প্রাণ নাশ ছাড়াই। মুহাম্মাদুর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) ছাড়া রক্তপাতহীন পৃথিবীর ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ বিজয়ের গৌরব অর্জন করা আর কার পক্ষে সম্ভব!

اليوم يوم الملحمة، اليوم تستحل الكعبة، اليوم اذل الله قريشا

‘আজ চূড়ান্তু যুদ্ধের দিন। আজ শত্রুদের দখল থেকে কাবাকে অবমুক্ত করার দিন’-এক আনসারি সাহাবির যবানে এমন ঝাঁঝালো, কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হতে শুনে কোমল প্রাণ, দয়ার নবী ছোট্ট একটি সংশোধন এনে বললেন,

اليوم يوم المرحمة، اليوم يعز الله قريشا و يعظم الله الكعبة

‘আজ দয়া ও ভালবাসার দিন। আজ কুরায়শের সম্মানিত হওয়ার দিন’।

বিজয়ী বেশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মভূমি মক্কায় প্রবেশ করছেন। বিনয়বশত তাঁর মাথা এই পরিমাণ ঝুঁকে ছিল যে থুঁতনি উঁটের কাজোয়ার সাথে মিলে যাচ্ছিল। এ সময় তাঁর যবানে ছিল সূরা ফাতহের তিলাওয়াত। ‘আপনার উপর নেয়ামতের অবারিত ধারাকে পূর্ণ করার জন্য এ বিজয়’ হে মুহাম্মাদ।

কী এক মোহনীয় পবিত্র পরিবেশ। সারা মক্কায় আজ তাওহিদের জয়গান। থেমে থেমে ধ্বনিত হচ্ছে পুত পবিত্র কালিমা। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

আল্লাহর ঘরে মানুষের হাতে নির্মিত মূর্তিগুলো রাসূল গুড়িয়ে দিলেন। আর আশ্চর্য, মূর্তিকে মন্দচারি করার জন্য যে মক্কাবাসী রাসূলকে জন্মভূমি ছাড়তে বাধ্য করেছিল তারাও আজ বেশ উৎসাহ নিয়েই মূর্তিভাঙ্গা উপভোগ করছে। তাদের কোনো অনুযোগ নেই, কোনো দুঃখবোধ নেই। কেননা ততক্ষণে নাজিল হয়ে গেছে মহাগ্রন্থের শ্বাশ্বত পয়গাম-

جاء الحق و زهق الباطل

‘সত্য এসে গেছে। মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে’।

সঙ্গী সাহাবিদের নিয়ে পরম ভক্তিসহ রাসূল বাইতুল্লাহর জিয়ারাত করলেন। যমযমের পানি পান করলেন। আহ। কতদিন মন কেঁদেছে, মুলতাযামে দাঁড়িয়ে উম্মতের জন্য কিছু সময় দোয়া করতে। মাকামে ইবরাহিমের অদূরে দুই রাকাত সালাত শেষে রবের দরবারে উম্মতের জন্য কল্যাণ কামনা করতে।

বাইতুল্লাহর জিয়ারত শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা ঘরের চাবি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ডাকলেন উসমান ইবনে তলহাকে। (পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করে সাহাবি হওয়ার মর্যাদা লাভ করেছেন। রাযিয়াল্লাহু আনহু) উসমানের হাতে চাবি দিয়ে রাসূল বললেন, আজ সদাচারের দিন। রাখ এই চাবি তুমি। জালিম ছাড়া কেউ এই চাবি তোমাদের থেকে কেড়ে নিবে না।

এই সেই উসমান, হিজরতের আগে একদিন রাসূল তার কাছে কাবা ঘরের চাবি চাইলে রাসূলের সাথে যে চূড়ান্ত অমর্যাদাকর আচরণ করেছিল।

কা’বার দরজা খুলে রাসূল দেখলেন, কুরায়শ সব চত্বরে দাঁড়িয়ে। রাসূলেরই অপেক্ষা করছিল তারা। মানবতার মুক্তি-দূত কা’বার দরজায় দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতাকে মধুর সম্ভাষণ করে বললেন,

হে কুরায়শ, তোমাদের কী আশা, আজকের দিনে তোমাদের সাথে কেমন আচরণ করা হবে?

উপস্থিত জনতা মধুবর্ষণে বিমুগ্ধ হয়ে উত্তরে জানালো- আমরা তো ভালো কিছুরই আশা করি। আপনার ব্যক্তিত্ব সম্ভ্রান্ত। আপনি তো সম্মানিত ভাই এবং কূলীন ঘরের সন্তান।

অতঃপর রহমাতুল লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আজ আমি তাই বলব, ইউসুফ আলাইহিস সালাম যা তার ভাইদের বলেছিলেন,

لا تثريب عليكم اليوم ، اذهبوا ،انتم الطلقاء

‘আজকের দিনে তোমাদের প্রতি কোনো অনুযোগ নেই। যাও তোমরা সবাই মুক্ত’।

এর আগেই, মক্কায় প্রবেশের সময়ই ঘোষণা করা হয়েছিল, আবু সুফিয়ানের ঘরে যে আশ্রয় নিবে সে নিরাপদ। যে নিজ ঘরে আশ্রয় নিবে তাকেও কিছু করা হবে না। হারামে আশ্রয়গহণকারীদেরও দেওয়া হবে পূর্ণ নিরাপত্তা।

এছাড়াও ইকরিমা, হিনদা, ওয়াহশি-সহ অল্প যে কয়জনের ব্যাপারে ঘোষণা করা হয়েছিল- তাদের ক্ষমা নাই- তাদেরও সবাই প্রায় ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় লাভ করেছিলেন।

তবে রাসূল কেবল স্থানের জয় করেননি। জগতের জন্য রহমত হিসেবে যাকে পাঠানো হয়েছে আলোর নবী মুহাম্মাদ রাসূল দয়া, মমতা এবং সম্ভমতা দিয়ে সমস্ত মানুষের হৃদয় জয় করলেন।

মক্কা বিজয়ের দিন এক ব্যক্তি কোনো একটা বিষয় নিয়ে নবীজীর সাথে কথা বলতে এসে ভয়ে কাঁপছিল দেখে রাসূল বললেন, কী হলো তোমার! ভয় কিসের? আমি কি কোনো বাদশাহ? আমি তো কুরায়শের এক সাধারণ মায়েরই সন্তান!

এটা ছিল সেই ব্যক্তির উত্তর; নানামুখী অত্যাচারের শিকার হয়ে যিনি একদিন প্রিয় জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে হিজরত করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

মোটকথা, ইসলামে বিজয়ের ধারণা কখনোই যুলুমের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল না। পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতার উত্থানের পেছনের পর্বে থাকে জুলম, নির্যাতন খুন ও ধর্ষণের দীর্ঘ উপাখ্যান। কিন্তু ইসলাম কোনো নগর বিজয়কে কখনো সে অঞ্চলের মানুষদের উপর কর্তৃত্ব প্রাতিষ্ঠার দৃষ্টিতে দেখে না। ইসলামে বিজয়ের ধারণা ‘ই’লায়ে কালিমাতুল্লা’ তথা দ্বীনের মর্যাদার বুলন্দি এবং দ্বীনের সম্মান উচ্চকিত করার উপর প্রতিষ্ঠিত। এ ক্ষেত্রে মহান সাহাবী রিবয়ী ইবনে আমের রা.-এর কিংবদন্তি বাণীটি স্মরণ করা যেতে পারে-

الله ابتعثنا لنخرج من شاء من عبادة العباد إلى عبادة رب العباد، ومن جور الأديان إلى عدل الإسلام، ومن ضيق الدنيا إلى سَعة الدنيا والآخرة

আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, যেন আমরা মানুষকে ব্যক্তিপূজা থেকে ব্যক্তির রবের ইবাদতের দিকে ফেরাতে পারি। ধর্মসমূহের স্বেচ্ছাচার থেকে ইসলামের কল্যাণ এবং দুনিয়ার সঙ্কীর্ণতা থেকে পার্থিব স্বচ্চলতা ও পরকালীন মুক্তির পথে পরিচালিত করতে পারি”।

বদর, হিত্তিনসহ যুগে যুগে বিজিতের সাথে মুসলিমদের সদ্ব্যবহার এবং যুদ্ধবন্ধীদের সাথে মুসলিমদের করা ইনসাফ রিবয়ী ইবনে আমর রাযি.-এর বাণীর প্রত্যক্ষ নজির।

সবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিলাল রা.-কে বললেন আজান দিতে। ইথারে ইথারে ছড়িয়ে পড়ল রবের একত্ব, বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের বাণী।

অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত সাহাবাদের নিয়ে আদায় করলেন আট রাকাত ‘সালাতুল ফাতহ’ তথা বিজয়ের নামাজ।