কানাডা জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলা সামিত সোম বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন। ফিফা প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি আজ বাফুফেকে সামিতের প্রসঙ্গে ইতিবাচক সঙ্কেত দিয়েছে। ফলে ১০ জুন ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে আর বাধা নেই সামিতের।
বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম শুরু থেকেই সামিতের প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ফিফার অনুমোদন প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির চিঠি আমরা পেয়েছি। এখন সামিতের বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা বাকি নেই।’
ফিফার চিঠিতে সরাসরি নির্দিষ্ট দেশের হয়ে খেলতে পারে এমন উল্লেখ থাকে না। আইনের ধারা উল্লেখ করে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের উপর ছাড়া হয়, ‘কিছু ধারা উল্লেখ করে ফিফা জানিয়েছে, সামিত বাংলাদেশের হয়ে খেলার যোগ্য এবং বাফুফে তাকে চাইলে খেলাতে পারে। ফিফা বিগত ক্ষেত্রেও এ রকম বার্তা দিয়েছিল।’
বাফুফে গতকাল রাতেই ফিফা প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে সামিতকে নিয়ে আবেদন করেছিল। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই আবেদনের ফলাফল পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ফাহাদ বলেন, ‘প্রথমত তার বাবা-মা দুই জনই জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। অরিজিন বেশ সুদৃঢ়। এরপর তিনি কানাডা সিনিয়র দলে খেললেও সেটা অফিসিয়াল ম্যাচ না হওয়ায় প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি স্বল্প সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের সভাপতি ফিফার সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করেছিলেন যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর ফিফার সবুজ সংকেত পেতে মাস চারেক লেগেছে। সেখানে সামিতের মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইতিবাচক খবর আসায় বর্তমান বাফুফে প্রশাসনের কৃতিত্ব।
গত ১১ এপ্রিল সামিত বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ২৫ দিনের মধ্যে বাফুফে জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট, কানাডার অনাপত্তিপত্র ও ফিফার ক্লিয়ারেন্স জোগাড় করেছে। বিশেষ করে পাসপোর্ট হওয়ার এক দিনের মধ্যে ফিফার ক্লিয়ারেন্স আদায় করা বেশ প্রশংসাযোগ্য।
২০১৩ সালে ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূইয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রবাসী ফুটবলারদের যাত্রা শুরু হয়। জামালের পর ফিনল্যান্ডের তারিক কাজী, কানাডার রাহবার খান ও কাজেম শাহ এবং ইংল্যান্ডের হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন। তাদের তালিকায় যোগ দিচ্ছেন সামিত সোম।