ফেনীতে ২১ স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

ফেনীর মুহুরী,কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি স্থান ভেঙে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে ডুবছে একের পর এক জনপদ। এতে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বানভাসিদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলবে।

আরও পড়ুন:তিন নদীর বাঁধ ভেঙে ৩০ গ্রাম প্লাবিত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পরশুরাম

ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ সতর এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক আবুল কাসেম চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তীব্র স্রোতে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়িসহ সবকিছু তলিয়ে যাচ্ছে। গেল বছরের বন্যায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম এবারও হতে পারে । দেশে ক্ষমতা আর সরকারের পরিবর্তন হলেও আমাদের ভাগ্য কখনো পরিবর্তন হয় না।

কোহিনুর আক্তার নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, সড়কে পানি থাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্কেও সমস্যা।এখনো শুকনো খাবার বা কোনো ধরনের প্রশাসনিক সহায়তা পাইনি।

তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তার দায়সারা কাজের কারণে প্রতিবছর এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গেল বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগে আবারও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা চার দিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবারও জেলাজুড়ে হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, দুপুর ১টার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমার ২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।নদীতে পানি কমলেও ভাঙনের স্থান দিয়ে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।পানি কমার পরেই বাঁধ মেরামতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলায় লাখের অধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।সেনাবাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করছে। জেলার ছয় উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ