বজ্রপাতে দেশের ৯ জেলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বজ্রপাতে কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগরে চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও কটিয়াদীতে চারজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুইজন এবং হবিগঞ্জের বানিয়াচং, চাঁদপুরের কচুয়া, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, যশোরের শার্শা ও মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় একজন করে মারা গেছেন।
কুমিল্লা:
বজ্রপাতে কুমিল্লার বরুড়ার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগচ্ছ গ্রামে দুই শিক্ষার্থী এবং মুরাদনগরের কোরবানপুর গ্রামে দুজন কৃষক মারা গেছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বজ্রপাতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন। নিহতরা হলেন- পয়ালগচ্ছ গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন ও বিলাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ, মুরাদনগরের কোরবানপুর গ্রামের জসীম উদ্দীনের ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া ও মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ। ষষ্ঠ শ্রেণির ওই দুই শিক্ষার্থী মাঠে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। এ ছাড়া, ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন ওই দুই কৃষক। কোরবানপুর গ্রামের ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়ে শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে নিহতরা হলেন- অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর গ্রামের কৃষক ইন্দ্রজিৎ দাস, খয়েরপুর গ্রামের স্বাধীন মিয়া, মিঠামইন উপজেলার রানীগঞ্জ গ্রামের মৃত আশ্রব আলীর স্ত্রী ফুলেছা বেগম এবং কটিয়াদীর ধনকিপাড়া গ্রামের জেলে শাহজাহান।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বজ্রপাতে ধান কাটার সময় হাওড়ে ইন্দ্রজিৎ, নদীতে মাছ ধরার সময় স্বাধীন, ধানের খড় ঢাকতে গিয়ে ফুলেছা এবং মাছ ধরতে গিয়ে শাহজাহানের মৃত্যু হয়।
নেত্রকোনা:
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় নিহত দিদারুল ইসলাম স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। রোববার রাতে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বজ্রপাতে মদন উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের ছালাম মিয়ার ছেলে শিক্ষার্থী আরাফাতের মৃত্যু হয়। সোমবার (২৮ এপ্রিল) তিয়শ্রী গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মাখন রবি দাস নামে এক চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাখন ওই ইউনিয়নের অহিদাবাদ চা বাগানের মৃত শংকুরা রবি দাসের ছেলে।
হবিগঞ্জ:
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ধান কাটার সময় নিহত কৃষক দূর্বাসা দাস। তিনি উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামের কালাবাসী দাসের ছেলে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ওই গ্রামে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার ভাই ভূষণ দাস ও বোন সুধন্য দাস। এ ছাড়াও বজ্রপাতে আহত হয়েছে একই উপজেলার বাগহাতা গ্রামের নুরুল ইসলামের শিশু ছেলে বায়েজিদ মিয়া।
চাঁদপুর:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ধান আনতে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে বিশখা রানী সরকারের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নাহারা গ্রামের হরিপদ সরকারের স্ত্রী। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ওই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
শরীয়তপুর:
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের বেপারীকান্দি গ্রামে গরুর ঘাস আনতে বিলে গিয়ে বজ্রপাতে সেফালী বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের ছোরহাব বেপারীর স্ত্রী। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেপারীকান্দি গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
যশোর:
যশোরের বেনাপোলে বেড়ি নারায়ণপুর গ্রামে ধানের গাদা দেওয়ার সময় বজ্রপাতে কৃষক আমির হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ওই গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মাদারীপুর:
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটে গ্রামে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে কৃষক কাজল বাড়ৈ মারা গেছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) কমলাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।