দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামার আগে আফগানদের পরিসংখ্যানের খাতাটা ছিল পুরোই ফাঁকা। প্রোটিয়ার বিপক্ষে কোনো ফরম্যাটেই জয় পেয়েছিল না আফগানিস্তান। তবে এই ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ইতিহাস বদলে দিয়েছে রশিদ-নবীরা। টানা দুই ম্যাচ জিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয়ের ট্রফি ঘরে তুলেছে তারা।
এতে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে আফগানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে মিলার-মারক্রামরা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) শারজায় আগের ব্যাট করতে নেমে ১৬৯ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ১০২ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকে প্রোটিয়ারা। টেম্বা বাভুমা আর টনি ডি জর্জির ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪০ রান। নবম ওভারের প্রথম বলে বাভুমাকে বোল্ড করে ফেরান গাজনফর। দ্বাদশ ওভারে জর্জি ফেরেন মোহাম্মদ নবির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ৩১ বলে ২৬ রান করে ফিরেছেন তিনি।
দলীয় ৮০ রানের মাথায় রিজা হেন্ডরিকসও ফিরলে খানিকটা দুশ্চিন্তায় পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে প্রোটিয়াদের কোনো বিপদেই পড়তে দেননি মার্করাম। ৩ ছক্কা ও ৪ চারে অনবদ্য এক ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।
মার্করামকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন ত্রিস্তান স্টাবস। ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এতে ১০২ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে গুরবাজের একক নৈপুণ্যে ১৬৯ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৯৪ বলে ৮৯ রান করেন তিনি। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছনে কেবল গাজনফর। ১৫ বলে ৩১ রান করেছেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রানে থামে তাদের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি, আন্দিলে ফেলুকোয়াইয়ো ও নাবাইয়োমজি পিটার। ম্যাচ ও সিরিজসেরা হন আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ। সিরিজে আসে তার ব্যাট থেকে ১৯৪ রান।