বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনে এবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সামিয়ক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) এনবিআরের বোর্ড প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় সচিব উম্মে আয়মান কাশমী স্বাক্ষরিত চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে তারা হলেন—কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক লোকমান হোসেন, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট ঢাকার কর পরিদর্শক নাজমুল হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ছালেহা খাতুন সাথী ও রৌশনারা আক্তার, কর অঞ্চল-১৪ এর প্রধান সহকারী বিএম সবুজ ও কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা দক্ষিণ এর সিপাই সালেক খান।
আরও পড়ুনঃ ৫ যুগ্ম কমিশনারসহ এনবিআরের ৮ কর কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বোর্ড প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কর ও কাস্টমস প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তা বাস্তবায়নের করা হবে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে আন্দোলন সম্পর্কিত ঘটনায় মোট ২৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত ও বাধ্যমূলক অবসরের মুখোমুখি হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) একই অভিযোগে মোট ১৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এদের মধ্যে দুপুরে আটজন, রাতে আরও ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যাদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার রয়েছেন।
বরখাস্ত করা কর্মকর্তারা এনবিআর সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। যদিও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে সবার বিরুদ্ধেই গত ২২ জুন ইস্যু করা বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে কর অঞ্চল ১০ এর নিরাপত্তা প্রহরী মো. সেলিম মিয়াকেও গতকাল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে গত ২ জুলাই এনবিআরের কর বিভাগ ও কাস্টমস বিভাগের তিন সদস্য ও এক কর কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আগের দিন ১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।