বাংলাদেশের ব্যাপারটা একটু ভিন্ন, বলছেন জয়শঙ্কর

ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোর রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলছেন, বাংলাদেশের ব্যাপারটা একটু ভিন্ন এবং ভারতও (বাংলাদেশের সঙ্গে) যৌথ প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, কোনও শর্তাধীনে নয়, বরং ভালো প্রতিবেশী হিসাবে ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোকে সহায়তা করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটে আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গতিশীলতা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা এবং অন্যান্য প্রকল্পে ভারত যুক্ত নয়” বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন।

২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া বেল-আউটের কথা উল্লেখ করে ভারতের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত শ্রীলঙ্কাকে যে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে তা কোনও শর্তসাপেক্ষে দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করেও কোনও ধরনের সুবিধা না পাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “এটা এমন নয় যে— আমাদের কোনও ধরনের রাজনৈতিক শর্ত ছিল যা এর (সাহায্যের মধ্যে) অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমি বলতে চাচ্ছি, আমরা একটি ভালো প্রতিবেশী হিসাবে এটি (সাহায্য) করছিলাম, কারণ আমরা আমাদের দোরগোড়ায় এই ধরনের অর্থনৈতিক মন্দা দেখতে চাইনি।”

তার দাবি, “সুতরাং আমি মনে করি, শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিকভাবে যা ঘটছে, দিন শেষে তা নিয়ে তাদের রাজনীতিই কাজ করবে”। ভারতীয় এই মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর রাজনৈতিক পদক্ষেপে ভারতের জন্য কোনটা ভালো হবে তা মেনে চলতে বলাটাও ভারতের উদ্দেশ্য নয়।

জয়শঙ্করের মতে, বাংলাদেশের ব্যাপারটা একটু ভিন্ন এবং ভারতও (বাংলাদেশের সঙ্গে) যৌথ প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “সুতরাং আমি আপনাদেরকে এটি সম্পর্কে বিশেষ কিছু মনে না করার জন্য অনুরোধ করব। এটা এমন নয় যে— ভারত প্রতিটি প্রতিবেশী দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে।”