কয়েকদিনের বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে অসংখ্য মানুষ জলবন্দি হয়ে আছন। বন্যার্ত মানুষের জন্য ত্রাণ হিসেবে মুড়ি, চিড়া ও গুড়ের চাহিদা বেড়েছে কারওয়ানবাজারে। তবে, চাহিদা অনুযায়ী বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পণ্য।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বাজার প্রায় পণ্যশূন্য। বিক্রেতারা বলছেন, শুক্রবার বন্যার্তদের জন্য ছাত্রদের গণত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই বাজারে নেই শুকনা পণ্যের জোগান। চাহিদা মতো পণ্যই ডেলিভারি করতে পারছেন না তারা।
জানা গেছে, বাজারে মুড়ি ৬৮-৭৫, চিড়া ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খেজুরের গুড় ১২০-১৩৫ টাকায় আর আখের গুড় বিক্রি হয়েছে ১২০-১৬০ টাকায়। এদিকে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজির। সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর খুচরায় কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে দুইশ টাকা।
জন্মষ্টমী উপলক্ষে ছুটি থাকায় সোমবার রাজধানীর বাজারগুলোতে ক্রেতা সমাগম দেখা গেছে কম। তবে, এরপরও চড়া ছিল সবজির দাম।
রাজধানীর বাজারগুলোতে সরবরাহ কমতি ছিল না সবজির। তবে, সব সবজিরই কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। পটল-ঢেঁড়স ৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও বেগুন কিনতে গুনতে হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
বেড়েছে কাঁচা মরিচ-পেঁয়াজের দামও। ৪০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। আলুর বাজারও কিছুটা চড়া।
বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নজরদারি বাড়ানোর দাবি ভোক্তাদের।