পবিত্র মাহে রমজানের ২০তম দিন চলছে এবং রমজানের শেষ সময়ে বাজারে এখন ভরপুর তরমুজ। দামেও রয়েছে স্বস্তি। নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত, সবার হাতের নাগালে তরমুজের দাম। কেউ ২০০ টাকা দিয়েও তরমুজ কিনতে পারছেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে অলিগলিতে ভ্যান করে তরমুজ বিক্রি বেশি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডি, রায়েরবাজার, মোহাম্মদপুর, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন বাজারে তরমুজে ভরপুর। বাজারের পাশাপাশি অলিগলিতেও ভ্যানে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। কিছু মুদি দোকানে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। ছোট-বড় নানা সাইজের তরমুজে ভরপুর বাজার, আর দামেও রয়েছে স্বস্তি। ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে।
ছোট আকারের তরমুজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়, বড় আকারের তরমুজ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, বাজারে প্রচুর তরমুজ রয়েছে। ক্রেতারা চাইলে বাসার সামনে থেকেই কিনতে পারেন, তাই বাজারে আসার তেমন প্রয়োজনীয়তা নেই। দামেও তেমন তফাৎ নেই। কিছু ক্রেতা কেজি ধরে বিক্রি করছেন, আবার কেউ পিস হিসেবেও বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আবার পিস হিসেবে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বড় তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে।
হাতিরপুলের তরমুজ বিক্রেতা মনতাজ উদ্দিন বলেন, আজ বিক্রি কিছুটা কম। নামাজের পর কিছু তরমুজ বিক্রি করেছি। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে তরমুজের বাজারে প্রভাব পড়ে। গরম বেশি পড়লে তরমুজ বেশি বিক্রি হয়। আমি ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি করি, যার দাম ৪০০-৫০০ টাকা।
ধানমন্ডি সাম মসজিদ রোডের ১৫ নম্বর রোডে ভ্যানে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেখানে ক্রেতা আমজাদ হোসেন একটি তরমুজ ৩৫০ টাকায় কিনে বলেন, আজকে তরমুজের দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে। রোজার প্রথম দিনে এমন একটি তরমুজ ৬০০ টাকায় কিনেছিলাম।
ভ্যানে তরমুজ বিক্রেতা লালন হায়দার বলেন, আমরা কমে কিনে, কমে বিক্রি করছি। এখন মানুষের হাতের নাগালে তরমুজ।